শোবিজ জগতের গড ফাদার রাজের ‘ছায়াতলে’ থেকেই অপকর্ম চালাচ্ছিলেন পরীমনি-পিয়াসা-মৌ!

অপরাধ বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : শোবিজ জগতের গডফাদার রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের ছায়াতলে থেকেই সব ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি, বিতর্কিত ও কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তার!


বিজ্ঞাপন

রাজের সমন্বয়ে এই চক্রের সদস্যরা লেটনাইট পার্টির নামে মদ-মাদক ও নাচের আসর বসাতেন।


বিজ্ঞাপন

এরপর সমাজের প্রভাবশালী, শিল্পপতি, বিত্তবান ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তের সন্তানদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও স্থির ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত রোববার রাতে রাজধানীর বারিধারা একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় কথিত মডেল পিয়াসাকে।

এরপর গভীর রাতে মোহাম্মদপুরে মডেল মৌ আক্তারের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।

গত সোমবার তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে গুলশান মামলার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর মঙ্গলবার সকালে পিয়াসার প্রধান সহযোগী মিশু হাসানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার রাজ ও পরীমনিকে আটক করা হলো।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর ৭ নম্বর সড়কে নজরুল ইসলাম রাজের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের একটি দল। পরে তাকে আটক করা হয়।

এ সময় তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ, ইয়াবা ট্যাবলেট , সেক্স টয় উদ্ধার করা হয়।

এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটক করে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরীমনিকে আটকের পরই রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এরপর রাত পৌনে ১২টায় তাকেও র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর ৭ নম্বর সড়কে নজরুল ইসলাম রাজের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে র‌্যাবের একটি দল। পরে তাকে আটক করা হয়।

তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ, ইয়াবা বড়ি, সেক্স টয় উদ্ধার করা হয়। রাত পৌনে ১২টায় তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আটক পরীমনি, পিয়াসা, মৌ এবং তাদের সহযোগী শরফুল হাসান (শুভ) এরা সবাই নজরুল রাজের ছাতার তলায় থেকে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।

নজরুল রাজের সমন্বয়ে চক্রের সদস্যরা লেটনাইট পার্টির নামে মদ-মাদক ও নাচের আসর বসিয়ে সেখানে আসা সমাজের প্রভাবশালী, শিল্পপতি, বিত্তবান ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্তের সন্তানদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও স্থির ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন।

ব্ল্যাকমেইলিং এই চক্রে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।