১৫ আগস্টের ঘটনা চরম বিশ্বাসঘাতকতা: প্রধানমন্ত্রী

এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ আগস্টের ঘটনা জাতির পিতা ও দেশের মানুষের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে নিঃশেষ করা হয়েছিল স্বাধীন দেশের মর্যাদাকে। বৃহস্পতিবার সকালে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিকাশে শেখ কামালের অনন্য ভূমিকা ছিল বলে জানান বড় বোন শেখ হাসিনা। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়া হয় ১০ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল। উত্তাল সময়ের এক ক্ষণজন্মা সাহসী তরুণের নাম। বৃহস্পতিবার শেখ কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে তুলে দেয়া হলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার, ২০২১।
অনুষ্ঠানে ছোট ভাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণে বড় বোন শেখ হাসিনা জানান, শেখ কামালের ঈর্ষণীয় পারদর্শিতা মুগ্ধ করেছিল আপামর জনতাকে। স্বাধীনতার পর সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রে আজকে যে উৎকর্ষতা; সেখানে শেখ কামালের বড় একটি অবদান রয়েছে। ৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটা চক্রান্ত করে শেখ কামালকে গুলি করা হয় এবং তাকের হত্যেরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে যখন বেচে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে নানা অপ্রচার চালানো হয়। রাষ্ট্রপতির ছেলেও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করতো শেখ কামাল।
তিনি আরও জানান, ৭৫ এর হত্যাকা- চরম বিশ্বাসঘাতকতা জাতির জন্য। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করলেন। বাঙালিকে জাতিকে একটা পতাকা দিলেন। কিছু সংখ্যক মানুষ ষড়যন্ত্র করে কি নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো। এতবড় বিশ্বাসঘাতকতা এই বাংলাদেশে ঘটে যাচ্ছে।
শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে স্বজনহারা সরকার প্রধান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে জানালেন, এ দেশের কল্যাণই কেবল একান্ত ব্রত তার।


বিজ্ঞাপন