পিরোজপুর প্রতিনিধি : ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে চরম অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত বঙ্কিম বড়ালের ছেলে বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে। এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের লিখিত আকারে মেম্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ পেশ করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে দেখা যায় দিন মজুরদের নামের তালিকা নিয়ে স্থানীয় মেম্বার চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিযোগের সত্যতার প্রমান মিলেছে। এক ধরনের চিটিংয়ের আশ্রয় নিয়েছে নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করেনি কিন্তু তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে বটে। এলাকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের ঐক্যের কারণে বিপর্যয় মেম্বরের তেলেসমাতির গোমর ফাঁস হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আরও জানান, স্থানীয় মেম্বার ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি কাজের সিপিসি নিজস্ব ক্ষমতাবলে বেআইনি ভাবে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ১৩ জন লোকের তালিকা তৈরি করেছে। অথচ এসব শ্রমিকরা মাঠ পর্যায়ে কাজে কখনোই জড়িত ছিল না।
এ ব্যাপারে এলাকার সাবেক মেম্বার ও ঘটনার কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও চোখে মুখে ফুটে উঠছে বিপর্যয়ের দুর্নীতির চিত্র। মিডিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ২৯জব শ্রমিক কাজ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে কাজ করেছে ১৫ থেকে ১৬ জন শ্রমিক। বিতর্কিত তালিকার মধ্যে অনিমেষ হালদার(৩০), নিতাই মিস্ত্রি (৪৫), অমল মিস্ত্রি (৪০), রেখা শীল (৪০), চিত্রা বড়াল (৩৫), কল্পনা বড়াল(৪২), সুচিত্রা বড়াল (৪০), সৌরেন মালি (৪৫), গৌরা মাঝি(৪৫), পুষ্প মিস্ত্রি (৪২)প্রমুখ। সর্বশেষ তথ্যমতে স্থানীয় মেম্বর প্রথম দুধাপে টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের ৫০০ ও ৭৫০ করে টাকা প্রদান করেন। সরেজমিনে উপস্থিত শ্রমিকরা আন্দোলনের হুমকিও দেয় বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে। অনেকেই বলেন, প্রথম ধাপে ৬০০০ টাকা উত্তোলন করেন। দ্বিতীয় ধাপেও ৬০০০ টাকা উত্তোলন করেন। আর তৃতীয় পর্বে শ্রমিকদের মাত্র ৯০০০ টাকা দেন। সর্বমোট তিন ধাপে টাকা প্রদান করেন ২১০০০ টাকা মাত্র। অথচ স্থানীয় মেম্বর সর্বমোট প্রায় ১ লাখ টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমাকে বিপর্যয় মেম্বর ৫০০ টাকা দেয়। কি কারণে দেয় তা কিন্তু বলেন নি।
সবশেষে স্থানীয় মেম্বরের সাথে কথা বলেন জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা। তিনি মিডিয়াকে বলেন, আসলে আমি কোন দুর্নীতি করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে এক ধরনের অপপ্রচার মাত্র। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ অহেতুক মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি এখনও এ বিষয়ে কোন লিখিতো কেন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।