রমজান বিন জহির : বর্তমানে বৈশ্বিক হারবাল ঔষধের বাজার প্রায় ৫৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৮ সালের মধ্যে এ বাজার প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে এই বাজারে সক্রিয়। চীন তাদের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় নীতি ও বাণিজ্যের অংশ করেছে। ভারতও আয়ুর্বেদ, যোগ, ইউনানি, সিদ্ধ ও হোমিওপ্যাথিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরছে। ভারতের আয়ুর্বেদ, চীনের TCM (Traditional Chinese Medicine), দক্ষিণ কোরিয়ার হানবাং চিকিৎসা পদ্ধতি—সবগুলোই নিজ নিজ ঐতিহ্য ও ঔষধি গাছের ওপর নির্ভর করে বহু বিলিয়ন ডলারের বাজার গড়ে তুলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ-এর পাশাপাশি বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে ভেষজ ওষুধের ক্রমবর্ধমান বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

ইতোমধ্যে দেশীয় বাজারে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধের মোট বাজার প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা; বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫%। ইউনানি ঔষধ কোম্পানি ৩০০টির বেশি, আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানি ১৭২টি এবং হারবাল ঔষধ কোম্পানি ৫০০টির বেশি; সর্বমোট নিবন্ধিত ঔষধ ৬,০০০টিরও বেশি।

দেশে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ শিল্পের ক্রমবর্ধমান এই অগ্রগতির সাথে সাথে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশসহ বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোতে (যেমন: স্কোয়ার, রেনেটা, রেডিয়েন্ট, একমি, ইবনে সিনা, অপসোনিন, ড্রাগ, পপুলার, বিকন ইত্যাদি) ক্লিনিক্যাল সেক্টরের পাশাপাশি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে BUMS ও BAMS গ্রাজুয়েটদের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ বড় কোম্পানিতেই সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পাসকৃত BUMS ও BAMS গ্রাজুয়েটরা ফ্যাক্টরির প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ওয়্যারহাউস ডিপার্টমেন্ট এবং হেড অফিসে প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (PMD), প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেইনিং ডিপার্টমেন্ট (PMT), স্ট্র্যাটেজিক মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট (SMD), স্ট্র্যাটেজিক ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (SBMD), মেডিকেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (MSD), প্রকিউরমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে কাজ করে যাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে—তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে, বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ৬,০০০-এর অধিক ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল পণ্যের প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশসহ অন্যান্য বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে কাজ করার জন্য শুধু একটি BUMS বা BAMS ডিগ্রিই কি যথেষ্ট?
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন নতুন ঔষধ উদ্ভাবনের জন্য কোনো গবেষণাগার বা উৎপাদন কারখানা আছে কি? অথবা হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ-এর মতো বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর সাথে কোনো ধরনের সহযোগিতা বা চুক্তি আছে কি?
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের কি সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি ও কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করার জন্য যথেষ্টভাবে গ্রুমিং করা হয়? সেখানে কি মূল ধারার বিষয়গুলোর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগে এমন কিছু বিষয়—যেমন: বেসিক ইংরেজি, বেসিক কম্পিউটার ফান্ডামেন্টাল, রিসার্চ মেথডোলজি ও বায়োস্ট্যাটিস্টিকস—পড়ানো হয়?
বহিঃবিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে সেখানে কি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষক রয়েছেন? প্রতিষ্ঠানটির সাথে পার্শ্ববর্তী দেশের কোনো স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কি কোনো সমঝোতা চুক্তি আছে?
প্রতিষ্ঠানটিতে ইন্টার্নশিপের সময়ে শিক্ষার্থীরা কি যথেষ্ট শেখার সুযোগ পান? প্রতিষ্ঠানটি কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বাংলা মিডিয়ামের সাত কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা কিছু? স্রেফ একটি কলেজ হওয়ায় এখানে ভবিষ্যতে শাস্ত্রীয় বিষয়গুলোর ওপর উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি? উত্তর হলো—না!
পক্ষান্তরে, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অনুষদের ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রশ্নগুলো করা হলে উত্তর হবে—হ্যাঁ। আর দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রশ্নগুলোর ভিন্ন ভিন্ন উত্তরই প্রতিষ্ঠান দুটিকে আলাদা করে তোলার জন্য যথেষ্ট।
অন্যদিকে বিশ্বের বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলোর মতো হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ-ও উদ্ভিদজাত উপাদান বিশ্লেষণ করে নতুন নতুন ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রেও আজকাল পিছিয়ে নেই। যেখানে এই ধরনের গবেষণা ও দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে হামদর্দ আধুনিক কারখানা, হামদর্দ সিটি অব সায়েন্স , হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ , হামদর্দ রিসার্চ ইনস্টিটিউট , হামদর্দ জেনারেল হাসপাতাল, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং হামদর্দ ইউনানি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া। পাশাপাশি, জাতীয় পর্যায়ে ‘প্ল্যান্ট-বেইসড ড্রাগ ডিসকভারি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন ওষুধের সন্ধান, প্রমাণভিত্তিক ভেষজ চিকিৎসা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পেটেন্ট অর্জনের কাজ করার জন্যও হামদর্দ সদা প্রস্তুত।
তাই সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ করে বলতে চাই, আপনারা যদি সত্যিই এই সেক্টরের উন্নতি চান, তবে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ-এর মতো প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার এবং প্রায় ৬,০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টিকারী শতবর্ষী একটি প্রতিষ্ঠান—যার নিজস্ব আধুনিক কারখানা, ১৬০ বিঘার বিশাল বিজ্ঞান নগর, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গবেষণা কেন্দ্র এবং ৩০০-এর বেশি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র রয়েছে—সেই প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা না করে এর বিশাল রিসোর্সকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। তাদের কারখানার সঙ্গে কোলাবোরেশন করে শিক্ষার্থীদের এই বিশাল সম্ভাবনাময় ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দিন।
নির্দিষ্ট কিছু সরকারি পদের আশায় ঔষধ শিল্প সেক্টরের এই বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ মিস করবেন না, দয়া করে। যে বড় ভাইদের কথায় গলা ফাটাচ্ছেন, সময় ব্যয় করছেন—তাঁরা আপনাদের খুব একটা উপকারে আসবেন না, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারণ, যদি তাঁদের এই সিস্টেমের জন্য কিছু করার সামর্থ্য বা মানসিকতা থাকতো, তবে বিগত ৩১ বছরে স্রেফ ২৮১টি সরকারি চাকরি ছাড়াও অনেক কিছুই করতে পারতেন সিস্টেমের জন্য। তাই শুধুমাত্র সরকারি চাকরির উপর নির্ভর না করে সম্ভাবনাময় ঔষধ শিল্পের দিকে নিজেকে ফোকাস করুন।
মনে রাখবেন শুধু একটি ডিগ্রি এবং ভালো রেজাল্ট আজকাল আর ভালো ক্যারিয়ার ও সাফল্যের একমাত্র নির্ধারক নয়।
২০২৫ সালের তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপ্লবের এই নতুন পৃথিবীতে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নেটওয়ার্কিং এবং সঠিক সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারলে প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে আপনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন—এটি নিশ্চিত।
Hamdard Public College (HSC) এবং Hamdard University Bangladesh (BUMS & MPH)–এ প্রায় সাড়ে আট বছরের শিক্ষাজীবন এবং পরবর্তীতে Drug International Unani Limited (Production) ও The IBN SINA Natural Medicine Limited (PMD)–এ প্রায় চার বছরের কর্মজীবনের সুবাদে আমার সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে BUMS ও BAMS পাসকৃত অনেকের সাথে দেখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শিক্ষাজীবনে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, গোল্ডমেডালিস্ট, পিএইচডিধারী এবং কর্মজীবনে সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা বড় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন।
ঠিক তেমনি, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ হয়েছে। Drug International Limited-এ আমার বস ছিলেন সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থেকে পাসকৃত BUMS গ্র্যাজুয়েট; আর বর্তমানে The IBN SINA Natural Medicine Limited-এ আমার বস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত M. Pharm গ্র্যাজুয়েট।
হামদর্দ পাবলিক কলেজে পড়ার সুবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বন্ধু হিসেবে পেয়েছি। আবার ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক সিস্টেমে পড়াশোনা করার সুবাদে সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পাসকৃত অনেক সহকর্মী, শিক্ষক ও বন্ধুদের সাহচর্যও পেয়েছি।
এই প্রেক্ষাপটে, সরকারি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে পাসকৃত BUMS ও BAMS ডিগ্রিধারীদের প্রতি একটি কথা বলতেই হয়, আপনাদের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় তখন, যখন আপনারা নিজেদেরকে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় / ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট’ মনে করেন। এই ভুল ধারণাটি আপনাদের অহংকারী করে তোলে, ফলে নতুন কিছু শেখার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন।
কিন্তু বাস্তবতা হলো—আপনার প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো স্রেফ বাংলা মিডিয়ামের একটি কলেজ মাত্র। ফলে একটি প্রকৃত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং আপনার যোগ্যতার মধ্যে বিস্তর ফারাক পরিলক্ষিত হয়, যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে ওঠে।
এটি একসময় বাস্তবতা ও চিন্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠলে, আপনি আপনার সহকর্মীদের কাছে হাস্যরসের পাত্র হয়ে উঠেন।
আর বাস্তবতা হলো , এই ভুল ধারণার কারণে আপনার নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডের জুনিয়র কলিগরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন, কারণ কর্তৃপক্ষ আপনাকেই রেফারেন্স ধরে তাদের মূল্যায়ন করে, যতই তারা প্রকৃতভাবে যোগ্য হোক না কেন।
পরিশেষে বলতে চাই—সিস্টেমটা আমাদের সবার। তাই এর উন্নয়নে কাজ করাটাও সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। আমরা যদি সারাক্ষণ অন্যের সমালোচনায় মগ্ন না থেকে নিজেদের মধ্যে বিভাজন না করি, বরং প্রত্যেকেই নিজের জায়গা থেকে নিজেকে নিয়ে একটু রিসার্চ করি, নিজের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোর ভিত্তিতে নিজেকে প্রস্তুত করি—তাহলে আমরা আমাদের বড় প্রতিপক্ষ MBBS, BDS ও Pharmacists দের মতোই নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারব।
আমরা যদি লক্ষ্য করি, তাদের মধ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি কী কী অতিরিক্ত যোগ্যতা রয়েছে—যেমন দক্ষ প্রেজেন্টেশন স্কিল, ইংরেজিতে সাবলীলতা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, রিসার্চ ও ডকুমেন্টেশন সক্ষমতা—এগুলো অর্জন করতে পারলে কেউই আমাদের ছোট করতে পারবে না বরং ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হারবাল ঔষধ শিল্পে আমাদের বিশাল কর্মক্ষেত্র আমরা নিজেদের মধ্যেই ধরে রাখতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আমার কথায় যদি কোথাও কোনো ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ্ তায়ালা’র কাছে প্রর্থনা করি, খুব শিগগিরই আমাদের এই সিস্টেমের সকল সমস্যাগুলোর সমাধান হোক। অল দ্য ভেরি বেস্ট ফর অল সিনিয়রস এন্ড জুনিয়রস ইন ইউনানি এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অব মেডিসিন ইন বাংলাদেশ।