তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদের এর পাশে আছেন———-ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, বিগত দিনেও কিছু সিনিয়র নেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় পার্টির সাথে বেঈমানী করেছিলো। এ কারণেই, জাতীয় পার্টি সাতবার ভেঙেছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মী সব সময় জাতীয় পার্টির সাথেই ছিলো। তৃণমূল নেতা-কর্মী কখনোই জাতীয় পাটির মূল স্রোতের বাইরে যায়নি। গেলো ২৫ জুন জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন প্রকাশ করেছেন।


বিজ্ঞাপন

সেই দিনই জাতীয় পাটির্র আগামী দিনের পথচলার ফয়সালা হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যম গুরুত্বে সাথে পর্যালোচনা করেন। কারন, ২০২১ সালে তিনি যে বক্তৃতা করেছেন তা ২০২৪ সালে প্রতিফলিত হয়েছে। এখন যা বলছেন, তা আগামী দিনেও সঠিক প্রমানিত হবে। আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কর্যালয় মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর নব নিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে সবংর্ধনা দেয়। সংবর্ধিত হয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আরো বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর সততা ও স্বচ্ছতা জ¦াজল্যমান। ৫ বছর গুরুত্বপূর্ণ ২টি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কেউ ১টি দুর্নীতির অভিযোগ করতে পারেনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে তিনি কর্তৃত্ববাদী সরকার বলতেন।


বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ বারবার চেষ্টা করেও জিএম কাদের এর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির মামলা করতে পারেনি। বাংলাদেশের সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৯ বছর রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেনাপ্রধান ছিলেন। পল্লীবন্ধু যখন ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন তাখন দেশের মানুষ রাষ্ট্রপতির ন্সেহের ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের’কে চিনতেন না। তিনি নিজ যোগ্যতা বলে বড় বড় পদে চাকরি করেছেন। কখনোই দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যতবার জিএম কাদের এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, ততবারই তিনি সততা’র শক্তিতে স্বমহিমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় নব নিযুক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার পাটোয়ারী আরো বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বর্জন করেছিলেন। মন্ত্রী থেকেও বেশির ভাগ জাতীয় পার্টির ৯০ ভাগ প্রার্থীদের নিয়ে সেই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তখন সরকার জিএম কাদের’কে মন্ত্রীত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইচ্ছে করলে ২/৪ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারতেন তিনি।

কিন্তু ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে ৫টি বছর সংসদের বাইরে থেকে দেশ ও মানুষের পক্ষে কথা বলেছিলেন তিনি। ২০১৯ অনেকেই বলেছিলেন এরশাদ এর মৃত্যুর পর আর জাতীয় পার্টি টিকবে না। শ্রম ও মেধা দিয়ে জিএম কাদের জাতীয় পার্টিকে শক্ত ভীতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন বাস্তবতায় যদি কেউ কেউ বলেন, জিএম কাদের’কে অব্যাহতি দিয়ে দিবেন এটা শুধুই হাস্যকর। কারণ, জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মী গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর মূল শক্তি।

এমসয় ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গতকালও একটি সংবাদ সম্মলনে বলা হয়েছে কাউন্সিলে হেরে যাবার ভয়ে নাকি জিএম কাদের কাউন্সিল করছেন না। কাউন্সিলে কারা থাকবেন? তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই তো থাকবেন। তৃণমূল নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে জিএম কাদের এর পাশে আছেন। কাউন্সিলে জিএম কাদের এর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার মত প্রার্থী কে? নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে জাতীয় পার্টিকে আরো এগিয়ে নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন ব্যরিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টি মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় যাবো। প্রত্যেকটি ইউনিটে বর্ধিত সভা করা হবে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ ও মানুষের জীবনে উন্নয়ণ দিয়েছিলেন, আগামী দিনে দেশ ও মানুষের জীবনে উন্নয়ণ দিবেন জাতীয় পার্টি চেয়রম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা আছে ও ২০২৪ সালে গণহত্যার ইতিহাস আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনার সময়ে কোন গণহত্যার রেকর্ড নেই। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে নিরাপদ মনে করে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ণ ও সুশাসনের কথা নিয়ে আমরা জনগণের দ্বোরগোড়ায় যাবো। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিমুখ করবে না।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ মমতাজ উদদীন, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, মনির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন, হুমায়ুন খান, মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারী খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোড়ল জিয়াউর রহমান, সমরেশ মন্ডল মানিক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মোঃ সামছুল হক এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিম এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা কাজী আবুল খায়ের, মোঃ আনিসউর রহমান খোকন, মাহমুদুল হাসান আলাল, মোঃ ইব্রাহিম খান, মোঃ নজরুল ইসলাম সর্দার, আক্তারুজ্জামান মাসুম, আবুল হোসেন, নাইমুল ইসলাম নয়ন, ফজলুল হক শিশির, হারুন পাটোয়ারী, আব্দুল বারেক, মোঃ এরশাদ, শফিকুল ইসলাম লিপন, নুরুল হক নুরু, সালেহ আহমেদ, মবিন হোসেন কিশোর।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *