বিশেষ প্রতিবেদক : দফায় দফায় বৃষ্টি আটকাতে পারেনি ঈদ উৎসবের বিনোদন প্রিয় মানুষগুলোকে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারা বাজারে ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক। ঘুরে দেখেন ভাসমান হাট-বাজার আর পেয়ারার ঘন অরণ্য। ঈদের তৃতীয় দিন মানুষের ঢল নামে বাংলাদেশের এই ভাসমান মার্কেটে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই অব্যহত বৃষ্টি-বাদল চলছে দখিন জনপদের জেলা ঝালকাঠিতে। বুধবার ভোর থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। তবু ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে দলে দলে বেড়াতে আসেন ঝালকাঠির ভীমরুলি গ্রামের ভাসমান পেয়ারা বাজারে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন আর বন্ধ-বান্ধব নিয়ে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা এ ভাসমান পেয়ারা বাজারে আসেন ছুটে আসেন নির্মল বিনোদন উপভোগে। ছোট ছোট নৌকা আর মাঝারি ট্রলারে করে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ান ভীমরুলি খালের পানির হাটে। এসময় অনেকেই ক্যামেরায় ফ্রেমে বন্দী করেন ঈদে ছুটির এই উৎসবমুখোর সময়। গ্রামের খাল ধরেই ছোট ছোট পেয়ারা পার্কেও বিনোদনের সময় কাটান অনেকেই। আর দর্শনার্থীরা এখানে এসে নির্মল বিনোদনে পরিতৃপ্তির কথা জানান।
ঝালকাঠি ছাড়াও বরিশাল এবং পিরোজপুরেও ভাসমান হাটবাজার রয়েছে। তবে ঝালকাঠির এ ভাসমান বাজারটি যেন তবে প্রকৃতির নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে। তাই সারা দেশের পর্যাটকদের প্রথম পছন্দ এই ভীমরুলির ভাসমান হাট-বাজার। ঈদকে কেন্দ্র করে আগামী শনিবার পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের মিলন মেলা বসেবে বাংলাদেশের এই ফ্লোটিং মার্কেটে।