মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের শেখহাটি ইউনিয়নের বাকলী গ্রামের খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান দখল করে পুকুর খনন করা সহ একাধীক অভিযোগের নায়ক সদ্য নির্বাচিত মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত এর বিরুদ্ধে।(২২ এপ্রিল) শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাকলী গ্রামে খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান দখল করে এস্কেভেটর দিয়ে পুকুর খনন করছে,এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত এস্কেভেটর নিয়ে চলে যায়।সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যানা যায়,মালিয়াট মৌজার বাকলী গ্রামের বিলের মধ্যে অনেক সরকারি জমি রয়েছে সেই সুবাদে হিন্দুসম্পদায় এর ধর্মিয় শৎকারের জন্য শ্মশান তৈরী করেন এবং একই জায়গায় ২শত গজ দুরে খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান।সদ্য নির্বাচিত মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত শ্মশান কমিটির সভাপতি হয়ে শ্মশান কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং চলাকালে বাকলী গ্রামের সাবেক মেম্বার ও সাবেক শ্মশান কমিটির সভাপতি প্রতাপ বিশ্বাস এবং বর্তমান মেম্বার ও শ্মশান কমিটির সভাপতি সুরান্জন গুপ্ত বলেন,খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান এস্কেভেটর দিয়ে সমান করে খেলার মাঠ বানাবো বলে কমিটির সকল সদস্যদের জানান,বিশ্বাস্থ্য সুত্রে জানা যায়।স্থানীয় একাধীক ব্যক্তী নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক সাংবাদিক পরিচয় পেছে জানান,আপনারা গোপনে খোজ নেন দেখবেন মেম্বার কত বড় দুর্নিতীবাজ দুই দিন হতে পারলো না মেম্বার হয়েছে তার মধ্যেই টিসিবির কার্ড করে দেয়ার নাম করে টাকা নেয়া,সরকারি গাছ কেটে নেয়া,খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান দখল করে পুকুর খনন করাসহ নানা অনিয়ম করে আসছে।কিছু দিন আগে কবর স্থানের সাথেই গর্ত থেকে মাছ মেরে নিয়ে গেছে মেম্বার এবং এবার সেখানেই এস্কেভেটর দিয়ে বড় করে পুকুর খনন করছে বলেও জানান।বাকলী খ্রীষ্টিয়ান কবর স্থান কমিটির সভাপতি পরিমল বিশ্বাস অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান,যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এটা নিয়ে বিবাদ করা বড় পাপ।সরকারি যায়গায় হিন্দুদের শ্মশান রয়েছে তার অনেক দুরে একই সরকারি যায়গায় খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থানও রয়েছে সেই কবর স্থান এর যায়গার সিমানার পিলার উঠিয়ে ফেলে বর্তমান মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত এস্কেভেটর দিয়ে পুকুর খনন করছে,তাহলে খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থানের কি হবে,তাহলে কি খ্রীষ্টিয়ান’রা দেশ ছেড়ে চলে যাবে।
গত (২১ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত নিজে দাড়িয়ে থেকে কবর স্থানের যায়গায় খনন করছে বার বার নিষেধ করলেও কথা শোনেনি বলেও জানান।
এদিকে,একাধীক অভিযোগের নায়ক সুরান্জন গুপ্ত সদ্য মেম্বার নির্বাচিত হয়ে নিজেকে মহারতী মনে করে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন।সরকারের দেয়া অসহায়দের নেয্য মূল্যের টিসিবি’র কার্ড করেও অসহায় ওয়ার্ড বাসির কাছ থেকে জন প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছিলো খবর পেয়ে সাংবাদিক’রা হাতে নাতে মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত এর অনিয়ম ক্যামেরায় বন্দি করেন এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়।মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত সরকারি গাছ বিক্রি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে,এবার কবর স্থান দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ।শেখহাটি ইউনিয়নের সহকারী নায়েব হিরোন এর কাছে হিন্দুদের শ্মশান ও খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান এর যায়গার বিষয়ে এবং কবর স্থান দখল করে পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক মো:রফিকুল ইসলাম কে মুঠোফোনে জানান,বাকলী গ্রামে বিলের মধ্যে সরকারি যায়গায় শ্মশান ও খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান রয়েছে জানি কিন্তু সেই খানে পুকুর খনন বা এস্কেভেটর দিয়ে কাটাকাটি হচ্ছে আমি জানি না,আপনার কাছে জানতে পেরে আমি সাথে সাথে সরজমিনে গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য,আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।সরকারি যায়গা ও কবর স্থান দখল করে পুকুর খনন করার সাহস কি ভাবে একজ মেম্বার পাই আমি ভেবে পাই না বলেও জানান।শেখহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (নায়েব) আফরুজা বেগম ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান,সরকারি জমি ডিসি অফিসের অনুমতি ছাড়া কেউ কিছু করতে পারবে না,আমি সংবাদ পেয়েই সাথে সাথে আমার সহকারীকে পাঠিয়েছি এবং কাজ বন্ধ করে দিয়েছি,এই কাজ যেই করুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে বলেও জানান।এ বিষয়ে মেম্বার সুরান্জন গুপ্ত এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে উচ্চস্বরে বলেন,আমি কি আপনার কোন দিনের শত্রু যে আপনি আমার সাথে এসব করছেন।
তিন চার গ্রামের লোক জন থেকে ওখানে একটি খেলার মাঠ বানাচ্ছে আমি জাইও নি,ওখানে,এটা গ্রামের ব্যপার,বাকলী শ্মশান কমিটি এটা করছে।
শ্মশান কমিটির সভাপতি তো আপনি জানতে চাইলে তিনি জানান,কমিটির সবাই থেকে এটা করেছে বলেও জানান।শেখহাটি ইউনিয়নের চেয়াম্যান গোলক বিশ্বাস জানান,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না তবে ফেসবুকে দেখছি ওখানে ছেলেপেলেরা না কি খেলার মাঠ করবে।
খ্রীষ্টিয়ানদের কবর স্থান দখল করে পুকুর খনেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার মেম্বার যদি এমন কাজ করে তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব বলেও জানান।