ওবায়দুল হক খানঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাছিম।
প্রধান অতিথির ভাষনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি হোন্ডা আর গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন করে, আমাদের গণতন্ত্র শিখায়। তিনি আরও বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার হত্যার বিচার করেছেন। যারা এর নেপথ্যে ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা আমাদের কর্তব্য। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা থেকেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, কোনো সামরিক জান্তা দিয়ে আসেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব শব্দ বোমা বন্ধ করুন। নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে নির্বাচনের পথে আসেন।
বিশেষ অতিথির ভাষনে জননেতা কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন- আগস্ট মাস শোকের মাসকে তারা কলঙ্কিত করতে চায়৷ কারণ তারা জানে শোকের এই মাসে তারা কি করেছিলেন। তারা ১৪ আগস্ট ব্রিফিং মিটিং করেছিল। হত্যার পর আমাদেরকে কারাগারে নিক্ষেপ করল। জাতীয় চার নেতা কে হত্যা করল। তারা বুক উচিয়ে চলল এ দেশে। তারা কখনও ফ্রীডম পার্টি কখনও অন্যদল খুলে আমাদের হুমকি দিল। আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন মির্জা সাহেবরা।
বাহাউদ্দিন নাছিম তাঁর ভাষনে আরও বলেন, বিএনপি- জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশের বাহিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে। আমরা নালিশের রাজনীতি করিনা আমরা মানুষের অধিকার আদায়ে রাজনীতি করি। গণতান্ত্রিক উন্নত দেশ গড়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগ্রাম বিএনপি জামাতের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আমরা তাদের মানুষ হত্যা করে পুড়িয়ে মারার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি। তাদের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য মাঠে ময়দানে আমরা প্রস্তুত আছি। কোন তারিখ উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে আমাদের নামার প্রয়োজন নেই। আমরা সব সময় মাঠে আছি। আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানে অন্যায় দেখবে সেখানেই বলিষ্ঠ কণ্ঠে প্রতিরোধ করবেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তারা যদি মনে করে আমরা তাদের নেতা/কর্মীদের মতো পালিয়ে যাবো তাহলে ভূল ভাবতেছে।আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষায় সব সময় কাজ করবো। যে কোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই করে যাবো। আমরা পালিয়ে বেড়ানোর জাতি না। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা পালিয়ে বেড়ায় না। নাছিম বলেন, আমাদের জায়গা রাজপথে। আমাদের জায়গা মানুষের হৃদয়। দেশের সাধারণ কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের হৃদয় আমাদের জায়গা। আমাদেরকে প্রতিরোধ প্রতিহত করা যায় না। আওয়ামী লীগ অপ্রতিরোধ্য। মানুষের যে কোন অধিকার আদায়ে আমরা পাশে আছি। আমাদের কোন অপশক্তি দমাতে পারবে না। যে কোন অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে আমরা প্রস্তুত। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশে কোন অপশক্তির স্থান নেই। তিনি আরও বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় মেনে নিতে পারেনি, যারা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর তল্পিবাহক হয়ে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো সেই ঘাতকের দল ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের উপর আঘাত হেনেছিলো। বাঙালি জাতির মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ঘটনা।
তিনি বলেন, আমাদের জায়গা রাজপথে। আমাদের জায়গা মানুষের হৃদয়। দেশের সাধারণ কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের হৃদয় আমাদের জায়গা। আমাদেরকে প্রতিরোধ প্রতিহত করা যায় না। আওয়ামী লীগ অপ্রতিরোধ্য। মানুষের যে কোন অধিকার আদায়ে আমরা পাশে আছি। আমাদের কোন অপশক্তি দমাতে পারবে না। যে কোন অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে আমরা প্রস্তুত। জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশে কোন অপশক্তির স্থান নেই।তিনি আরও বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় মেনে নিতে পারেনি, যারা পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর তল্পিবাহক হয়ে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো সেই ঘাতকের দল ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের উপর আঘাত হেনেছিলো। বাঙালি জাতির মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ঘটনা ঘটিয়েছিলো। যা সারা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো, পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিলো। এ অপশক্তি জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার জন্য ৭ ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেব লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, মজিবুর রহমান স্বপন, দেবাশীষ বিশ্বাস,শামীম শাহরিয়ার, আব্দুল আলীম বেপারী, ফারুক আমজাদ খান,সৈয়দ নাসির, কাজী শাহানাজ ইয়াসমিন, ড.জমির উদ্দিন সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী,খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, আবিদ আল হাসান, শাহ জালাল মুকুল, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মোঃইসহাক মিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, গণযোগাযোগ সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আবুল, ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আহাম্মদ উ্ল্লাহ জুয়েল, বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্চিনিয়ার কোবাদ হোসেন,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।