সুমন হোসেন, (যশোর) ঃ
যশোর জেলার শার্শা থানার মহিষকুড়া গ্রাম হতে ৩ জন গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামীদের আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
যশোর জেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক নির্মুলের লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের দিক নির্দেশনায় জেলা পুলিশের সকল ইউনিট নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায়
বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৩৯, তাং- ২২/০৬/২২ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন,১৯০৮ এর ৩/৬ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম, এসআই সোলাইমান আক্কাস, এসআই শাহিনুর রহমানগণের সমন্বয়ে গঠিত টিম মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন।
বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর ভোররাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে শার্শার মহিষাকুড়া হতে সন্ত্রাসী পিতা মৃত নুর আলী মন্ডলের ছেলে শাহাবাজ মন্ডল (৬০), আবেদার রহমান মোল্যার ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৩), ও একই এলাকার আমীর আলী মোড়লের ছেলে সাহেব আলী বিল্লালদের গ্রেফতার করেন।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে ১২টা ৪৫ মিনিটি শার্শা থানাধীন মহিষাকুড়া দক্ষিনপাড়া সাকিনস্থ আসামী শাহাবাজের ভাই ইউনুচ আলী মন্ডলের বসতবাড়ীর গোয়াল ঘরের ৫০ গজ পশ্চিম পাশে বিচুলী গাদার মধ্যে হতে ১টা দুনালা বন্দুক ও ৬টা বারো বোর কার্তুজ এবং বন্দুকের একটি পুরাতন কাপড়ের কভার উদ্ধার করেন পুলিশ।
এ সংক্রান্ত শার্শা থানার মামলা নং-২২, তাং-২২/০৯/২২ খ্রিঃ, ধারা- দি আর্মস এক্ট ,১৮৪৭ ইউ /এস১৯এ রুজু হয়েছে। আসামীরা অস্ত্র প্রদর্শনপূর্বক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে জুন মাসে নির্বাচিত মেম্বার বাবলুকে হত্যা করেছিল। তাছাড়া তারা একটা সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা, মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
উল্লেখ্য, ১নং আসামী শাহাবাজের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ২টা অস্ত্র, ২টা হত্যা, ৩টা মাদক মামলা সহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে। ২নং আসামী জসিম এর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক সহ ৪টি মামলা রয়েছে। ৩নং আসামী বিল্লালের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক সহ মোট ৩টি মামলা রয়েছে।
