আউরিয়ায় ভূমিদস্যুর কবলে হাবিবুল্লাহ ও সোহাগ কাজীরা

অপরাধ আইন ও আদালত বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : নব্য ভূমি খোর ও ফিল্ম স্টাইলে মাস্তানী করার অভিযোগ উঠেছে রব ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন জাতীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আউরিয়া গ্রামে জায়গা জমির ভোগ দখল নিয়ে রব ও হাবিবুল্লাহ ও সোহাগ কাজীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এলাকার প্রবীণ বহু ব্যাক্তিরা আরও বলেন, আমরা যতটুকু জানি সেই হিসাবে এই সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে মালিক ছিল প্রয়াত কাজী দলিলউদ্দিন ও কাজী সাইজ উদ্দিন। তাও প্রায় ৮৭ বছর আগে। এরপর রেকর্ড সুট করে মালিক হন কাজী সাইজ উদ্দিন এবং তাদের ওয়ারিশ গণ। বর্তমানে ওয়ারিশ সূত্রে জায়গার মালিক মো. হাবিবুল্লাহ ও কাজী সোহাগ গংদ্বয়। এদিকে এলাকার সাবেক এক প্রবীন মেম্বার ও মহাজন মিডিয়াকে বলেন, আসলে ওয়ারিশ সূত্রে বর্তমান মালিক কাজী সোহাগ গংরা। তাছাড়া ১৯৪২ সালে দলিল হয়।
তবে ভিন্নকথা বলেছে আউরিয়ার বহু সুশীল সমাজের লোকজন। তারা অকপটে বলেন, গায়ের জোড়ে বাবা রব, ছেলে সন্তানসহ ভাড়ায় মাস্তান গংরা যা করেছে তা অন্যায়। জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে। তবে গায়ের জোরে আবুল কালাম গোমস্তা, রব গোমস্তা সহ মুহিত, সাইদুল, নাঈম, তুহিন, হাফিজুর, তাজুল, শামীম গংরা যা যা করেছে তাহা চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বটে। অথচ ৫৬ শতাংশ জমির বৈধ কাগজপত্র কাজী সাইজ উদ্দিন ও তার ওয়ারিশরা। বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিগত সময় হতেই পাকা টয়লেট ও পুকুরের পরিবেশও ছিল। এমন কি সম্পত্তির চারপাশে কাটা তারের ভেড়া ছিল।
আউরিয়া এলাকার বেশির ভাগ লোকজন সহ ভুক্তভোগী মো. হাবিবুল্লাহ ও কাজী সোহাগ বলেন, ক্রয় সূত্রে মূল মালিক ছিল কাজী দলিল উদ্দিন ও সাইজ উদ্দিন গংরা। পরবর্তী সময়ে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক কাজী সাইজ উদ্দিন ও কাজী সোহাগ গংরা। সম্পত্তির এস এ দাগ-৩৪৬ ও বিএস-৪৪৮ এবং সম্পত্তির পরিমান ৫৬ শতাশং। ঘটনায় সময়ে বৈধ কাগজপত্র উপেক্ষা করে রব গোমস্তা, কালাম গোমস্তা ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী ক্ষমতার ও পেশীশক্তি দিয়ে ভূমিদস্যু হিসাবে মাস্তানি স্টাইলে জবরদখল করার চেষ্টা করে। এদিকে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধিতার কারনে মামলা মোকরদমা চলে চসছিল। অথচ আইনকে উপেক্ষা করে রব গংরা পেশীশক্তি দিয়ে অন্যায় করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন। এ ব্যাপারে রব গোমস্তা জাতীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে আমরা ভূমি দস্যু নই। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য দখল করতে যাই। তবে ভিন্নকথা বলেন কাজী সোহাগ। এ চক্র বিগত সময়ে নানান রকম ঝামেলার সৃষ্টি করার পায়তারা চালানোর চেষ্টা করতো। গত সপ্তাহে আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও গায়ের জোরে দখলে আসে। সর্বশেষ তথ্য মতে আউরিয়া গ্রামের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যেও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এলাকার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সঠিক কাগজ পত্রের মাধ্যমে এলাকার গণ্যমান্য নিয়ে সুন্দর সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞ মহল সঠিক ও সুন্দর সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *