অস্থির পেঁয়াজের বাজার

অর্থনীতি এইমাত্র জীবন-যাপন বানিজ্য

পেঁয়াজের দাম কমার আশাবাদ সেতুমন্ত্রীর

মহসীন আহমেদ স্বপন : পেঁয়াজের ঝাঁজ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না পেঁয়াজের বাজার। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা করে।
একমাস আগে, হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিলে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সে সময় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা বেড়ে নব্বই থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে থাকে। এরপর মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার। এছাড়া টিসিবিও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতও। দাম সামান্য কমে আসলেও আবারও বৃষ্টির অজুহাত ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান খারাপের অজুহাতে অস্থির হয়ে পড়েছে বাজার। ভারত থেকে আগের এলসি করা পেঁয়াজ প্রবেশ করলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী দাম বাড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে। আমাদের দেশে কোনো কিছুর দাম বাড়লে, অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে। আশা করি, শিগগিরই সমাধান হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দাম শিগগিরই কমবে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামে প্রতিনিধি সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে নামিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়ক ভবনে কয়েকটি রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে আমি প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি সাড়ে ১২টায়। এ ধরনের ঘটনা আমি দেখিনি, আমাকে কেউ জানায়ওনি। যখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গিয়েছি, তখন আমাকে একজন এ কথা জানান। তবে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি। আমি মেয়রকে জিজ্ঞেস করেছি, তার বক্তব্য হলো মঞ্চে পোস্ট হিসেবে চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণের কোন কোন নেতা বসবেন, তা সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মহিউদ্দিন সাহেবের স্ত্রীর নাম ছিল না। আমি জানলে মহিউদ্দিনের স্ত্রী হিসেবে তাকে সম্মান দিতাম, তবে বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না।
সংরক্ষিত আসনের এমপির পরীক্ষায় জালিয়াতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি দলীয় ব্যাপার। পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তার অপরাধ প্রমাণ হলে স্পিকার কি ব্যবস্থা নেন, সেটি দেখার বিষয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *