নিজস্ব প্রতিবেদক : গবেষণা ও উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে একসাথে কাজ করবে টেক সার্ভিস লিডার গ্রামীণফোন ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি (আইইউটি)। সম্প্রতি, এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
আইইউটি ও গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এমওইউ -তে স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে আইইউটি’র উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞগণ আইইউটি’র শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেশন নিবেন। এসব সেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে শেখা থিউরি বাস্তব জীবন ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে ইন্টার্নশিপ ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রাম নিয়ে রোডশো আয়োজন করা হবে।
এই পার্টনারশিপের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট – আরঅ্যান্ডডি) প্রকল্প এবং ব্যবসার ব্যাবহারিক ক্ষেত্রসহ আরও নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
একইসাথে, এই সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরি করা হবে, যা গ্রামীণফোন ও আইইউটি – উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, আইইউটি’র শিক্ষকরা খাতসংশ্লিষ্ট সেরা অনুশীলনীগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর ফলে, পাঠদান প্রক্রিয়া আরও সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি মেধাবীদের বিভিন্ন খাতে কাজের জন্য প্রস্তুত করে তোলার যাত্রা ত্বরান্বিত হবে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজির সাথে পার্টনারশিপ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আইইউটি’র সাথে পার্টনারশিপ শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবে, গবেষণার ক্ষেত্রে একসাথে কাজের সুযোগ তৈরি করবে, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং আমাদের দেশের বিকাশমান প্রযুক্তি খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে।’
আইইউটি’র উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সাথে পার্টনারশিপ জোরদার করার অংশ হিসেবে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেশের ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের অভূতপূর্ব উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আমাদের প্রত্যাশা এই পার্টনারশিপ প্রযুক্তিখাতে দেশের মেধাবী স্নাতকদের ভবিষ্যতের উপযোগী দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে ভূমিকা রাখবে; এ ব্যাপারে তাদের আরও সচেতন করে তুলবে এবং একইসাথে, শিক্ষার্থীদের জন্য অমিত সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।’