বিএনপির শাসনামলে ধর্ষণের রেকর্ড গড়েছিল ছাত্রদল

Uncategorized রাজনীতি



আজকের দেশ ডেস্ক ঃ ১৯৯৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ছাত্রদল নেতা সীমান্ত, মিতুল ও জাপানসহ আরো কয়েকজন। পরিসংখ্যান বিভাগের সামনের জঙ্গলের মধ্যে তারা সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান এবং ছাত্রীর বাবাকে ডেকে ‘সমঝোতা’ করে দেন। দেশব্যাপী এরকম অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান, আর কোনোদিন ক্যাম্পাসে ফেরেননি। এমনকি ছাত্রীর বাবাও কাঁদতে কাঁদতে ক্যাম্পাস চত্বর ছাড়েন।

ছাত্রদল নেতাদের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় দেশ ও বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। চরম বিপাকে পড়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার। কিন্তু ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা রয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এ ঘটনার পর ১৯৯৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগের আরেক ছাত্রীকে অর্থনীতি বিভাগের সামনে থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে আগের অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সীমান্ত। এ ঘটনায়ও সীমান্তের কোনো বিচার হয়নি।

এদিকে ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রীও পড়াশোনা শেষ না করে জাবি ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন। তবে ছাত্রদল নেতা সীমান্ত একের পর এক ধর্ষণকাণ্ড ঘটিয়েও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ নিয়ে বের হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির মদদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত ও তার সহযোগীদের শাস্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনাতেই নেয়নি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *