নিজস্ব প্রতিবেদক : সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে স্কুল ব্যাগের আড়ালে কুরিয়ারে ইয়াবার বড় চালান পরিবহন কালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা হতে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ ১ জন কে গ্রেফতার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী বিশেষ একটি টিম, এ খবর নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক শামীম হোসেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু দিন ধরে উল্লেখিত আসামীর কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং করে আসছিল।
সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের কাছে তথ্য আসে যে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান কুরিয়ারে মাধ্যমে ঢাকা হয়ে মাদারীপুর যাবে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ৫ মে, ডিএমপি ঢাকার মতিঝিল থানা এলাকার শাপলা চত্ত্বর হতে সাইফুল ইসলাম (৩৯) আটক করে তার দেহ তল্লাশী করে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর একটি পন্য চালানের কপি পাওয়া যায় এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার একটি বড় মাদকের চালান মতিঝিল থানাধীন ৫নং দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টার হতে বুঝে নেওয়ার কথা।আসামীসহ উক্ত চালান কপি নিয়ে মতিঝিল থানাধীন ৫নং দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে নিয়ে আসা হয়।
উক্ত চালান কপি অনুযায়ী চালানকৃত পন্য সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃক আসামীর মাধ্যমে বুঝে নিয়ে উক্ত বস্তা তল্লাশী করে বস্তার ভিতর ব্যাগের মাঝ খানে বিশেষ ভাবে লুকানো অবস্থায় স্বচ্ছ পলিথিনের বড় প্যাকেটের মধ্যে ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টি নীল রংয়ের জীপার, প্রতি প্যাকেটের ভিতর ২০০ (দুইশত)পিস করে মোট (২০০ x ২৫০ ) ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস মিথাইল অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট যার ওজন ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) গ্রাম উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত ইয়াবা ট্যাবলেট তার বলে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, উক্ত মালামাল দেশে দক্ষিণ অঞ্চলে মাদকের ডিলারদের সরবরাহ করে থাকে।
এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আসামীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ফরিদপুর অফিস কর্তৃক মাদকের মামলা করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক শামীম হোসেন জানান, মাদকাসক্তি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর ।জাতীয় ও জনস্বার্থে দেশের যুব সমাজ কে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, ফরিদপুর কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে ।