মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের পুকুর দখল করে ‘বিউটিফিকেশন’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে কাজ বন্ধের জন্য পাঠিয়েছেন উকিল নোটিস।সোমবার (৮ মে) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র বোস এর নিজ কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সুবাস চন্দ্র বোস বলেন,১৯০৭ সালে তৎকালীন জমিদার’রা কালিদাস ট্যাংক পুকুরটি খনন করে। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের অধীনে হস্তান্তর করা হয়। সব কাগজপত্র জেলা পরিষদের কাছে রয়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করেই পৌর মেয়র পুকুরে খননকাজ করছেন। তিনি বলেন,আমরা ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় লিখিত ভাবে জানিয়েছি। সরাসরি ও ডাকযোগে উকিল নোটিসও পাঠানো হয়েছে। তবে তারা তা গ্রহণ করেনি। আমরা আদালতে মামলাসহ আইনগত ভাবে এর মোকাবিলা করব। তবে পুকুর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নড়াইল পৌর-সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা। তিনি বলেন, পুকুরের জমির কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। জমি পৌরসভার দখলে রয়েছে। আমরা খাজনাও দিয়েছি। আমাদের জমিতে আমরা কাজ করছি।
জানা গেছে,নড়াইল পৌর ভবনের পেছনের পুকুরটিতে বিউটিফিকেশনের নামে প্রায় ৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২২ অক্টোবর নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পুকুরটি মহিষখোলা মৌজার ৫২৮ নম্বর দাগে। জমির পরিমাণ ২ একর ৫ শতক। পুকুরটি কালিদাস ট্যাংক নামে পরিচিত। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরে গত ১২ এপ্রিল তদন্ত করতে আসে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না। তার সামনেই সুবাস চন্দ্র বোস ও আঞ্জুমান আরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জুলিয়া সুকায়না উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে তার কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে স্থানীয় সরকার শাখা তদন্ত করেছে। বাস্তব চিত্র তুলে ধরে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। সেখান থেকে যে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবে কাজ করব।