ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর পৃথক ২ টি  অভিযানে ২১ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৪ জন গ্রেফতার

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা রাজধানী সারাদেশ

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর পৃথক ২ টি  অভিযানে ২১ হাজার পিস  ইয়াবা সহ ৪ জন (বাসচালক সহ ) মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধর ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।


বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরউল্লাহ কাজল এর সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর সহকারী পরিচালক  মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে রমনা সার্কেল এবং মোহাম্মদপুর সার্কেল সমন্বয়ে পৃথক দুটি টিম গঠন করে শুক্রবার  ১৯ মে, মধ্য রাত হতে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে  বাড্ডা প্রগতী স্বরনী এলাকা এবং ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে ২১০০০ (একুশ হাজার) পিস অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা সহ ৪ (চার) জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদের নাম যথাক্রমে, মাহমুদুল করিম (৪৩) মারসা পরিবহন এর ড্রাইভার। রুমা আক্তার (৪২) মাদক ব্যবসায়ী, নকিবুল ইসলাম (২১) ডিলার, মোঃ মোস্তফা কামাল ওরফে কামাল।

বাড্ডা থানাধীন গ-১৩০, প্রগতি স্মরণীস্থ “রাফিদা সাইকেল মার্ট” এর সামনে রাস্তার উপর চট্র মেট্রো-ব-১১-১৯১৮ নম্বরের MARSA Transport নামক বাসের ভিতর হতে বাসের ড্রাইভার মাহমুদুল করিম (৪৩) ও তাদের সঙ্গবদ্ধ চক্রের একজন মহিলার জিম্মায় থাকা ৪৮২৭ পিস ইয়াবাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখিত মাদক চক্রের সদস্যগণ দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। আসামীরা বিভিন্ন কৌশলে তার ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরে তার কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটরিং কারে আসছিলো । সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে সে ইয়াবার একটি চালান কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসবে এবং ঢাকায় দুই বা তিনটি স্থানে সরবরাহ করবে।

উক্ত তথ্যানুযায়ী অধিদপ্তরের রমনা সার্কেল কর্তৃক গঠিত টিম তাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন শেষে শুক্রবার  ১৯ মে, ভোর সাড়ে ৪ টায়  চট্র মেট্রো-ব-১১-১৯১৮ নম্বরের MARSA Transport নামক বাসটি বাড্ডা থানার গ-১৩০, প্রগতি স্মরণীস্থ “রাফিদা সাইকেল মার্ট” এর সামনে পূর্ব পাশে রাস্তার উপর পৌছালে গাড়ির গতিরোধ করা হয় এবং আসামী ড্রাইভার মাহমুদুল করিম (৪৩) এবং রুমা আক্তার (৪২) কে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সনাক্ত করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ পূর্বক তাদের দেহ ও বাসের ড্যাসবোর্ড তল্লাসী করে মহিলার পরিহিত জুতার ভিতরে বিশেষভাবে তৈরী চেম্বারে লুকায়িত এবং গাড়ির ড্যাসবোর্ড থেকে তাদের জিম্মায় থাকা ৪৮২৭ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

পরবর্তীতে সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে চক্রটি কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম হতে আগত ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় ডেলিভারী করবে ।

উক্ত সংবাদ অনুযায়ী অধিদপ্তরের মোহাম্মদপুর সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম তাদেরকে মনিটরিং করতে থাকে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন শেষে শুক্রবার  ১৯ মে, দুপুর ১২ টা থেকে  সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে  ১৬০০০ (ষোল হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ (দুই) কুখ্যাত মাদক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেন এবং একজন পলাতক রয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত  জানায়, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম থেকে  ইয়াবা ট্যাবলেট এনে  ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে আসছিলো।

আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

উপরোক্ত অভিযানের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক  মোঃ জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান যে, ইদানীং কালে প্রায়শই বিভিন্ন পরিবহনের বাস চালকরা মাদকদ্রব্য ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা কক্সবাজার গামী বিভিন্ন পরিবহনের বেশ কয়েকজন বাস চালককে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে বাসও জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। পরিবহন মালিকদের নিশ্চিত হতে হবে যে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ড্রাইভারগন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নন।এবং পরিবহনগুলোতে ড্রাইভার, সুপারভাইজারগন কোনো মাদক পরিবহন করছে কিনা এ বিষয়ে বাস মালিকদের নজরদারি ও সচেতনতা বাড়ানো দরকার।।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *