খুলনার রূপসায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে জমি দখলের পায়তারা ও প্রাণনাশের হুমকি

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা সারাদেশ

পিংকি জাহানারা : খুলনার রূপসা থানাধীন আইচগাতী ইউনিয়নের ঢালী ইমদাদুল সড়ক সংলগ্ন শিরগাতী  এলাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে আসামী  মেহেদী কাজী (৩০),ও হায়দার কাজী (৩৫)  জবেদ আলী মোল্লার (৫৫)  ভোগ দখলীয় জমির উপর বালি ভরাট করে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে


বিজ্ঞাপন

বিষয়টি বাদী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও প্রতিকার না হওয়ার কারণে বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার নং- ৬৫৯/২০ (রূপসা)।
মামলায এডিএম কোর্ট শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও আসামীরা  তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে থাকে। গত ৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে  এডিএম কোর্টের আদেশ অমান্য করে আসামীরা বাদীর জমিতে বালি ভরাটের চেষ্টা করলে বাদী বাধা প্রদান করেন।


বিজ্ঞাপন

কিন্তু আসামীরা অত্যান্ত ক্ষমতাশালী হওয়ায় বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি  দিয়ে তার জমি থেকে বিতাড়িত করে। তখন বাদী নিরুপায় হয়ে গত  ৬ নভেম্বর ২০২০ তারিখে রূপসা থানায় লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তেমন কোন পদক্ষেপ নেয় নি
আসামীরা বাদীর থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সকাল অনুমানিক ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় বাদীর জমিতে আসামীরা জোর করে ঘর তুলতে গেলে বাদীর জীবন বাজী রেখে তাদেরকে বাধা দেয়। ঐ সময়ে ১নং আসামী মেহেদী কাজী  তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে বাদীর পিঠে, পায়ে, হাতে আঘাত করে  জখম করে।

২নং আসামী হায়দার কাজী তার হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে বাদী উক্ত আঘাত বাম হাত দিয়ে ঠেকালে কবজির সম্মুখে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। আসামীরা বাদীকে উপর্যুপরি মারতে মারতে প্রায় ঘৃত করে ফেলে। বাদীর আত্মচিৎকারে সাক্ষীরাসহ আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে আসামীদের হাত থেকে বাদীকে রক্ষা করে।

আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন। বাদীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সাক্ষীরা তাকে চিকিৎসা করার জন্য স্থানীয় খলিল ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর বাদী শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন না হওয়ার কারণে পরের দিন অর্থাৎ গত ৩ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বাদীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডিজিটাল এক্সে করাতে বলে। বাদী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ডিজিটাল এক্সে করিয়ে রিপোর্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের নিকট উপস্থাপন করলে, ডাক্তার জানান, বাদীর আলনা হাড়টি ভেঙ্গে গেছে।(ধারা-১৮৮/৪৪৭)  তখন ডাক্তার হাতের প্লাস্টার সহ আনুসাংগিক চিকিৎসার ২৩/৩২৫/৩০৭/ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। বাদী অত্যান্ত অসহায় বৃদ্ধ। বর্তমানে বাদী আসামীদের অত্যাচারে আহত অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পরবর্তীতে বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ২০৯ লিডে  ১০/১২/২০২০ করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ  আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। ঘটনা সত্য। ঘটনার সাক্ষীরা হলেন, রজব আলী মোল্লা,, সাহেব আলী,, আঃ জলিল,, মেডিকেল অফিসার ( খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *