নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য সরকারকেই দায়ী করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সুন্দরবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সন্তু লারমা বলেন, ‘চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১১ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসছে না।’
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির পক্ষে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌস।
জনসংহতি সমিতির সভাপতি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সরকার জুম্ম জাতিগুলোকে চিরতরে নির্মূলকরণের হীন উদ্দেশ্যে যুগপৎ বাঙালিকরণ ও ইসলামিকরণের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে চলেছে। এই উদ্দেশ্যে একইসঙ্গে শাসকদল এবং সরকার ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি বিশেষ মহল চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করা, জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংস করা ও চুক্তি বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম প্রতিরোধ করার সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।’
সন্তু লারমা আরও বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পেছনে যাওয়ার আর কোনও পথ নেই। পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম জনগণ তাদের অস্তিত্ব সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।