নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো : (দক্ষিণ) এর মাদক বিরোধী অভিযানে রাজধানীতে ইয়াবার হোম ডেলিভারিম্যান পাঠাওচালক ও কক্সবাজার ভিত্তিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ১১৫০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) এর সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ।
জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় কর্তৃক রাজধানী ঢাকায় পাচারকারী কক্সবাজারের ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান অব্যাহত আছে। কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুদ হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সর্বশেষ জুন-জুলাই মাসে ৫৪,১১২ পিস ইয়াবাসহ ৭১ জনকে আটক করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে একটি টীম গতকাল ১৪ শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলগাঁও এবং তুরাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে খিলগাঁও থানাধীন খিদমাহ হাসপাতালের সামনে থেকে ৮০০০ (আট হাজার) পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজারভিত্তিক ইয়াবা পাচারকারী মোঃ আহসান হাবীব হাসান (৪৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে ৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত) পিস ইয়াবাসহ পাঠাওচালক ইয়াবার পার্সেল সরবরাহকারী মো: তোফাজ্জল হোসেন (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে :
মোঃ আহসান হাবীব হাসান (৪৮), পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন, ঠিকানাঃ বড়বাজার রোড, বাজারঘাটা ০৩নং ওয়ার্ড, সদর, কক্সবাজার এবং মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (২৮) পিতা- মো: হাবিবুর রহমান, ঠিকানাঃ খোশকান্দি, সদর, নরসিংদী
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে যা জানা গেছে : গ্রেফতারকৃত মো: আহসান হাবীব হাসান একজন পেশাদার মাদক পাচারকারী। কক্সবাজার থেকে প্রতি মাসে ৬/৭টি চালানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে একজন টুরিস্টের ভূমিকায় বারবার কক্সবাজার যাওয়া আসা করেন।
সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে এবং আকাশপথে ইয়াবা পাচার করে ঢাকায় অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার কাজে যুক্ত ছিল।সে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ঠান্ডা মিয়ার সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। অপর আসামী তোফাজ্জল হোসেন একজন পাঠাওচালক। তিনি রাইড শেয়ারের ছদ্মবেশে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার হোম ডেলিভারি দিতেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা ছিল কিনা প্রাথমিকভাবে তা যাচাই করা না গেলেও, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলমান আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও এবং তুরাগ থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।