জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা, সোমবার, ১৭ জুলাই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিভাজন সৃষ্টি করে স্বৈরাচারী সরকার মানুষকে শোষণ করে। আমরা স্বাধীনতা পেলেও মুক্তি পায়নি। মুক্তির জন্যই এদেশের মানুষ সংগ্রাম করেছিল। সেই মুক্তির সংগ্রামেই স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা একটি রাষ্ট্র পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পায়নি। দেশের মানুষ চেয়েছিল সু-শাসন, আইনের শাসন এবং দেশের মালিকানা। স্বপ্ন ছিল মুক্তি পেয়ে দেশের মানুষই ঠিক করবে, কে দেশ চালাবে।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্টেটারী ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সহ সভাপতি খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, এখন দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। জনগণের কাছ থেকে রাজনীতি দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি রাজ প্রসাদে নেওয়া হয়েছে। কি হবে আর কি না হবে তা রাজ প্রসাদেই সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সব সিলেকশন সেখানেই হচ্ছে। দেশের মালিক যে জনগণ তা অস্বীকার করছে সরকার। জনগণের হাতে কোন ক্ষমতায় নেই। মানুষ ভোট দিতে গেলে ভোট দিতে পারে না। ভোটারদের ভোটে ফলাফল নির্ধারণ হয় না। একারণেই দেশের মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দেশের মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারছে না আবার সরকারের সমালোচনাও করতে পারছে না।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, সরকারের সমালোচনা অধিকার নয়, এটি কর্তব্য। দেশের মানুষ এই কর্তব্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। নিবর্তনমূলক নানা আইন-কানুন দিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। নিষ্ঠুর নির্যাতন ও নিবর্তনমূলক আইনের ভয়ে দেশের মানুষ মাঠে নামতে পারে না। মন খুলে তাদের দাবী জানাতে পারে না। একারণে দেশের মানুষ সবসময় ভীত সন্ত্রস্ত।দেশের মানুষ হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিরাজনীতিকরণের কারণে ভোটার রা ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না।
এটা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বঞ্চনা, বৈষম্য ও বিভাজন থেকে আমরা যে মুক্তি চেয়েছিলাম তা পায়নি। মুক্তি ও দেশের মালিকানা পেতে সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছিল। দেশের মানুষ স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও মুক্তি ও দেশের মালিকানা পায়নি।