ইভিএমে সন্দেহ হলে এসে দেখে যান: ইসি

জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইভিএমের ব্যবস্থাপনায় থাকা ইসির এনআইডি উইংয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ভোটের আগে ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে, কারও সন্দেহ হলে সেখানে এসে দেখে যেতে পারবেন। রোববার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন

সাইদুল জানান, ভোটের আগে ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি প্রত্যেক কেন্দ্র ও পাশের এলাকায় কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয় সে বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ২৮ জানুয়ারি ফাইনাল ‘মক ভোটিং’ হবে।

বিএনপির অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বলতে পারি, ইভিএমে অনৈতিক কার্যক্রম করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারপরেও কেউ যদি রিচেক করতে চায়, তাদের আমরা স্বাগত জানাই। আমরা ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করব। কারও সন্দেহ থাকলে, তারা এসে দেখতে পারেন।

সাইদুল আরও যোগ করেন, কেউ (ইভিএমের) অপব্যবহার করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কমিশন বদ্ধ পরিকর।… আমরা যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি, তাতে আমরা কনফিডেন্ট, কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড কার পক্ষে করা সম্ভব হবে না।

তিনি জানান, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি মিলিয়ে প্রায় ২৬০০ কেন্দ্র, এর মধ্যে ১৪ হাজার ৬০০ বা তার বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। বাস্তবতার নিরিখে এটি নির্ধারণ করা হবে। দুই সিটির নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

‘ভোটারদের প্রশিক্ষিত করতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি, লিফলেট, বুকলেট ও টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছি।… টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনও থাকবে।’

সাইদুল জানান, ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেওয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিলি করা হবে। তাতে লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে কীভাবে ভোট দিতে হয়। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। আপিল করার সময় ৫ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে ১২ জানুয়ারি। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ডিএনসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও ডিএসসিসির রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনকে নিয়োগ করা হয়েছে।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের সাত হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে এক হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দু’সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুক হকের মৃত্যু হওয়াতে উপ-নির্বাচন হয়েছিলো চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পরে ১৮০দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ সম্পন্ন হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ সম্পন্ন হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *