এখন টিভির পিরোজপুর প্রতিনিধি ইমন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা : সহকর্মীদের বিরুদ্ধে লাঞ্চিত করার অভিযোগ 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  সন্ধ্যার দিকে এখন টিভির পিরোজপুর প্রতিনিধি ইমন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, তার সহকর্মীরা তাকে লাঞ্চিত করেছেন । এরপর অন্যান্য সাংবাদিকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে,  ইমন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র পিরোজপুর জেলা কর্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী কাজ করার উপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে। যেটি ভালোভাবে নেয়নি নিয়মিত মাসোহারা পাওয়া পিরোজপুরের সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা।


বিজ্ঞাপন

তাই ইমনকে প্রেসক্লাবে ডেকে লাঞ্চিত করেন। জেলা পর্যায় এমন ধরনের পকেট সাংবাদিক নেতাদের জন্য অনেক তরুণ সাংবাদিকই কাজ করতে পারছে না।গতকালকের  ঘটনায় উপস্থিত সকলের নাম এখনও জানা যায় নি তবে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে, এসব রাঘব বোয়ালদের নাম হাতে আসলেই এসব কর্মকর্তাদের দোসর,  দালাল এবং তাদের সকল কুকীর্তি প্রকাশ করা হবে। আর ইমনের যে নিউজের জন্য তাকে গতকাল  লাঞ্চিত করা হল সেই প্রতিবেদনটিও এখানে সংযুক্ত করে দেওয়া হলো ।

পিরোজপুর এলজিইডি’র কর্মকর্তা যখন ঠিকাদার : তার লাইন্সেস পেল কোটি টাকার কাজ

নিজস্ব  প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র পিরোজপুর জেলা কর্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আইআরআইডিপি প্রকল্পের প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার একটি রাস্তার কাজ পায় ‘রায় কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। রায় কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সটির প্রোপ্রাইটর ঘাটলে দেখা যায় এলজিইডি’র কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাসের স্ত্রী রিনা রানী মন্ডলের নাম এবং লাইসেন্সটির প্রোপ্রাইটরে যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে সেটি মৃণাল কান্তির নিজেরই নাম্বার। শুধু তাই নয় এ কাজের টেন্ডারের লটারী নিয়েও রয়েছে এলজিইডি’র পেশাদার ঠিকাদারদের বিভিন্ন অভিযোগ।

তেমনই একজন পরিচিত ঠিকাদার মোঃ আব্দুল আলিম জানান, গত ১২ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে এলজিইডি’র জেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে টেন্ডারের লটারী হয়। যা আমরা কেউ জানিনা বা কোনো ঠিকাদার উপস্থিত ছিলো না। একজন সহকারী প্রকৌশলী তার অফিসে কোনো ঠিকাদারের উপস্থিতি ছাড়াই লটারী করেছেন এবং সেই সময় উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসও উপস্থিত ছিলেন। তাহলে তো এখানে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে। পিরোজপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী একজন দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা। তার আমলেই যতসব দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। এলজিইডি’র কার্যালয় ঘিড়ে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

আরেক ঠিকাদার মোঃ মুরাদ বলেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের কাছে আমরা ঠিকাদাররা অসহায়। তিনি যত অনিয়মের মূল হোতা। এলজিইডিতে চাকুরি করে এমন কর্মকর্তা কিভাবে ঠিকাদারী লাইসেন্স করলো এবং সে কোটি টাকার কাজ পেল। নিশ্চয় এখানে নির্বাহী প্রকৌশলীর হাত আছে। আমরা এই আইআরআইডিপি প্রকল্পের টেহুারটি বাতিল করে নতুন ভাবে করার দাবি জানাচ্ছি এবং এই দুর্নীতিগ্রস্থ প্রকৌশলীর পদত্যাগ ও বদলী দাবি করছি।

এদিকে সরকারি কর্মকর্তা ঠিকাদারী কাজ পাওয়ার বিষয়ে এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বি জানান, টেন্ডারের লটারীতে কোনো অনিয়ম হয়নি। লটারীর সময় আমরা ঠিকাদারদের ডাকছিলাম,তারা কেউ আসেনি।

আর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার এবিষয়ে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঠিকাদারী লাইসেন্স তা আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। তিনি আরো বলেন, কর্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসের চাকুরীর বয়স প্রায় শেষ। তার এবছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকুরীর মেয়াদ আছে। যদি আইআরআইডিপি প্রকল্পের কাজ পেয়ে থাকে সেটি আমরা তদন্ত করে টেন্ডার বালিত করবো। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কোনো ঠিকাদারী কাজের সাথে যুক্ত হতে পারবে না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *