টাঙ্গাইলে শিক্ষকদের মারপিটের ঘটনায় ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ,চরম উত্তেজনা

এইমাত্র ঢাকা সারাদেশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ও গভর্নিং বডির সদস্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ কর্তৃক শিক্ষকদের মারপিটের ঘটনায় ৯ মার্চ (শনিবার) স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রদিবাদ সমাবেশ করেছে।


বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে প্রহারকারী অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বহিস্কার ও গভর্নিং বডির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের শাস্তি দাবী করেছেন। খবরে প্রকাশ, ৯ মার্চ শনিবার সকালে স্কুলে এসে ক্লাস কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে প্রায় ৫শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার বহিস্কার দাবী করে ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মামুদের শাস্তি দাবী করে। এ দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মিলনায়তনে স্কুল ও কলেজ অংশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন।

কালিহাতী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি করিমুন্নেছা সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পটল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র নাথ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন কুমার দত্ত, উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম প্রমুখ।

বক্তরা শিক্ষকদের মারধরের তীব্র নিন্দা জানান এবং মারপিটকারীদের দ্রুত শাস্তি দাবী করেন। এমতাবস্থায় কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ আহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলেন এবং বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বড় আকারে উদযাপনের আবেদন করলে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিমকে মারপিট করে। অধ্যক্ষ ঘটনাটি গভর্নিং বডির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদকে জানালে তৎক্ষনাত স্কুলে এসে সহকারি শিক্ষক আব্দুর রহিম ও সাকিবকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সমবেত হয়ে অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে। পরিবেশ সামাল দিতে ঐ দিন স্কুল ছুটি ঘোষনা করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *