নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

রবিবার ১২ নভেম্বর, দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় হোল্ডিং নং ২৮৮/৫ হতে ৯৮/২ হয়ে উত্তর ভাষানটেক পর্যন্ত ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কি.মি. সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাটি বেশি কয়েকটি টেক নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে আলব্দীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদী। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। বৃষ্টির সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টার প্লানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকে সাজাতে সার্বক্ষণিক আমার সাথে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যসহ কাউন্সিলরবৃন্দ। তবে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ফিট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দিবেন। ২০ফিটের নিচে রাস্তা নির্মাণ করলে অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না, অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না৷ অতএব কোন রাস্তা ২০ফিট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি কর্পোরেশন নির্মাণ করবে না। সেই রাস্তা করে কোন লাভ নেই।’
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘দেখেন ২০বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে। বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকরী টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’
মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, উত্তরা থেকে জসিমউদদীন রোড হয়ে এয়ারপোর্টের পেছন দিয়ে ইসিবি চত্ত্বর পর্যন্ত একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে৷ এটি নির্মাণ হলে খুব অল্প সময়ে এই এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। মাস্টারপ্লানে সবকিছু আছে। ভাষানটেক এলাকা গুলশানের থেকেও সুন্দরভাবে সাজানো হবে। এখানে কয়েকটি খাল রয়েছে। এগুলো উন্নয়ন করা হবে, খালের পাড়ে সাইকেল লেন হবে, সবুজায়ন হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে কাউন্সিলরকে নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছি। পরিকল্পিতভাবে এই এলাকায় টেকসই উন্নয়ন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ভাষানটেকের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য। আমি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বস্তিবাসীদের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর ভবন নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷ আমি চাইনা বস্তির পরিবর্তে আবার বস্তি হোক। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত থাকার জায়গা নির্মাণ করবে।’
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নাম ফলক উন্মোচন করে সড়কের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করনে এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জহির আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।