নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত আদায়, রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে হুইল চেয়ার ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে ঘুস দাবিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, চট্টগ্রাম-১ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে টীমের সদস্যগণ রোগী/ সেবাগ্রহীতার ছদ্মবেশে জরুরী বিভাগ, মেডিসিন ওয়ার্ড, গাইনি ওয়ার্ড সহ অপরাপর ওয়ার্ড সমূহে অবস্থান করেন।

আনসার, আউটসোর্সিং ও স্পেশাল ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীগণ পরস্পর যোগসাজশে জরুরি বিভাগের মূল ফটকে সংকটাপন্ন রোগীদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে হুইল চেয়ার ও ট্রলির কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে কৌশলে টাকা আদায় করে।
এসময় আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত দুইজন কর্মচারীকে ঘুষসহ হাতেনাতে ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের নিকট সোপর্দ করা হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুইজন কর্মচারীকে চাকুরি হতে বরখাস্ত করেন।
একই দিনে দুদকের কক্সবাজার জেলা কার্যলয়ের অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়, কক্সবাজার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের মে মাসে উক্ত অফিসের ০৫টি কোর্সে প্রশিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নামমাত্র প্রদান করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক,জেলা কার্যালয় ,কক্সবাজার হতে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে কর্মরত উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর,কক্সবাজার বদলি হয়ে যাবার কারনে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অভিযোগে বর্ণিত ০৫ টি কোর্সের প্রশিক্ষকদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত বক্তব্য ও সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সদর দপ্তরে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।