বিশেষ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার তালিকাভুক্তফার্মাও রসায়ন খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ‘২৩) ১৫টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে।
একই সময়ে ৯টি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো কমেছে এবং মাইনাসে রয়েছে ২টি কোম্পানির। এছাড়া ৬টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যেসব কোম্পানিতে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে তা যথাক্রমে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যবরেটরিজ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস, ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইমাম বাটন ইন্ডাষ্ট্রিজ, এসিআই ফর্মুলেশনস, জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, অরিয়ন ইনফিউশন, অরিয়ন ফার্মা, ফার্মা এইডস, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস : কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
একমি ল্যবরেটরিজ : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪১ পয়সা।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৬৩ পয়সা।
গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৬১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫৪ পয়সা।
ইমাম বাটন ইন্ডাষ্ট্রিজ : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩৬ পয়সা।
ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৭ পয়সা।
এসিআই ফর্মুলেশনস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২২ টাকা ৫১ পয়সা।
জেএমআই সিরিঞ্জ এন্ড মেডিকেল ডিভাইসেস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ৫২ পয়সা।
কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১১ টাকা ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২২ টাকা ৫২ পয়সা।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১টাকা ১৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশন : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ২ পয়সা।
ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৮৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা।
ফার্মা এইডস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা।
সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ পয়সা।
ওয়াটা কেমিক্যালস : প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ২৯ পয়সা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ১৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা।