উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা গোপিনাথ রায়ের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ৩৮,০৯,৩৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা গোপিনাথ রায়ের বিরুদ্ধে “উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা দায়ের, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  সমবায় অধিদপ্তরের ”উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গোপীনাথ রায় ( এল,এফ,এ,আই,) (কৃত্রিম প্রজননকারী) ও ফেসিলিটেটর (আদায়কারী), উপজেলা সমবায় কার্যালয়, বটিয়াঘাটা, খুলনা; পিতা: কৃষ্ণ পদ রায়, গ্রাম: তিতুখালী, ডাকঘর: সুকদাড়া, উপজেলা: বটিয়াঘাটা, জেলা: খুলনা) এর বিরুদ্ধে গতকাল মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুদক সূত্রে জানাগেছে, আসামি গোপীনাথ রায় কর্তৃক “উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের ঋণের আদায়কৃত ৩৮,০৯,৩৩২/- টাকা অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যাংকে জমা না দিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করে এবং অপরাধের দায় হতে নিজেকে রক্ষার অসাধু অভিপ্রায়ে তার নিকট রক্ষিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক বিভিন্ন রেকর্ডপত্র অফিসে জমা প্রদান না করে অপসারণপূর্বক দণ্ডবিধির ৪০৯/২০১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

“উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” প্রকল্পের সদস্যদের নিকট থেকে আদায়কৃত টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের দায়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় প্রেরণ করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়। দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার ই/আর নং: মপ/তদন্ত-২/২৪৬/২২/খুলনা অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, আসামি গোপীনাথ রায় সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকা কর্তৃক গৃহীত “উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এল,এফ,এ,আই,(কৃত্রিম প্রজননকারী) হিসাবে গত ০৩/০৬/২০১৯ খ্রি. তারিখে উপজেলা সমবায় কার্যালয়, বটিয়াঘাটা, খুলনায় যোগদানপূর্বক ০৩/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে নিজ পদসহ ফেসিলিটেটর (আদায়কারী) এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি পলাতক/নিখোঁজ হওয়া পর্যন্ত (৩০.০৬.২০২২ খ্রি.) বিভিন্ন সময়ে এল,এফ,এ,আই, (কৃত্রিম প্রজননকারী) ও ফেসিলিটেটর (আদায়কারী) পদে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ‘ছয়ঘরিয়া দুগ্ধ উৎপাদনকারী নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ ও ‘চক্রাখালী দুগ্ধ উৎপাদনকারী নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ এর সদস্যদের নিকট থেকে আদায় রশিদ ও গ্রাহকের পাশ বইতে স্বাক্ষর প্রদান পূর্বক ঋণের কিস্তি ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মোট ১,০৪,০৯,৯০০/- টাকা আদায় করেন। আদায়কৃত অর্থের মধ্যে তিনি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর বটিয়াঘাটা শাখা, খুলনায় পরিচালিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যাংক হিসাব যথাক্রমে ২৭০৩৭০৩০০০০৩৯, ২৭০৩৭০৩০০০০৫৩ ও ২৭০৩৭০৩০০০০৫৪ নম্বরে গত ০৩/০৬/২০১৯ হতে ৩০/০৬/২০২২ খ্রি. তারিখের মধ্যে মোট ৬৬,০০,৫৬৮/- টাকা জমা করেন। অবশিষ্ট (১,০৪,০৯,৯০০ – ৬৬,০০,৫৬৮) ৩৮,০৯,৩৩২ টাকা তিনি নিজে লাভবান হওয়ার অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যাংকে জমা না দিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন এবং অপরাধের দায় হতে নিজেকে রক্ষার অসাধু অভিপ্রায়ে তার নিকট রক্ষিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক বিভিন্ন রেকর্ডপত্র যেমন- ক্যাশবই, ঋণ বিতরণ রেজিষ্টার, আদায় রশিদ , ব্যাংক জমার স্লিপ, জরুরী নথিপত্র এবং প্রকল্প হস্তান্তরের কাগজপত্র অপসারণ করেছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *