নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এর একটি আভিযানিক দল সম্প্রতি অভিযান পরিচালনা করে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানাধীন সাউদপাড়া এলাকা থেকে অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকুরী প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের ১ (এক) জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম: ইয়াসীর হিমেল (৩০), পিতা- জসিম উদ্দিন, গ্রাম- পাঁচধা, থানা- কিশোরগঞ্জ সদর, জেলা- কিশোরগঞ্জ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৩ (তিন) টি মোবাইল ফোন, ১০ (দশ) টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
মো: আরাফাত হোসেন নামে প্রতারণার শিকার একজন ব্যক্তি ডিএমপি‘র রামপুরা থানায় এ সংক্রান্তে একটি অভিযোগ দায়ের করলে রামপুরা থানার মামলা নং ২২, তারিখ ২৮/১২/২০২৩, ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। মো: আরাফাত হোসেন এর অভিযোগ মতে, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিকাল ৪ টার দিকে তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকুরীর লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি ক্ষুদেবাতার্ (এসএমএস) পাঠানো হয়। অভিযোগকারী উক্ত অফারে সাড়া দিলে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা অভিযোগকারীকে প্রথমে গুগল ম্যাপ রিভিউ, অনলাইন ভোটিং সিস্টেম আপগ্রেডেশন এর মত কিছু সহজ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার টাস্ক দেয়। টাস্কগুলো সম্পন্ন করার পর প্রতারক চক্রটি অভিযোগকারীর বিকাশ নম্বরে ৪৫০ টাকা পাঠায়।
পরবর্তীতে অভিযোগকারী মো: আরাফাত হোসেনকে একটি টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করা হয়। ২৯ অক্টোবর ২০২৩, প্রতারকদের নির্দেশনা অনুসরণ করে তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে ২,০০০ টাকা পাঠানোর পর অভিযোগকারীকে বিকাশে ২,৮০০ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে প্রদান করা হয়।
এভাবে লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে অভিযোগকারীর কাছ থেকে দুইধাপে আরো ৫,০০০ টাকা ও ১৮,০০০ টাকাসহ মোট ২৩,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। অভিযোগকারী পরবর্তীতে প্রদত্ত টাকার লভ্যাংশ চাইলে প্রতারকরা তাকে জানায়, লভ্যাংশসহ পূর্বের টাকা ফেরত পেতে হলে তাকে আরো ৩৬,০০০ টাকা পাঠাতে হবে। পূর্বের প্রদত্ত টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মো: আরাফাত হোসেন প্রতারক চক্রের দেয়া একটি ব্যাংক একাউন্ট নম্বরে আবারও কয়েক দফায় সর্বমোট ১,৪৯,০০০ টাকা পাঠালে তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার সংক্রান্তে রামপুরা থানা অধিযাচনপত্র প্রেরণ করলে প্রেরিত পত্রের ভিত্তিতে এটিইউ প্রতারক চক্রের সদস্য ইয়াসীর হিমেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।