১৫ মার্চ ২০২৪ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত 

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  গত  ১১ জানুয়ারি,  সকাল ১১  টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন ১২তলা, ঢাকা) ১৫ মার্চ ২০২৪ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম অবহিতকরণ ও প্রচারের লক্ষ্যে গণমাধ্যমের সাথে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান  হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক  মাইনুল আলম এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি  মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার)  ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

স্বাগত বক্তব্যে অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকল্পে ২০০৯ সালে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণিত হয়। ২০১০ সাল থেকে অধিদপ্তর কর্তৃক বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে। শুরু হতেই দিবস পালনসহ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম প্রচারে গণমাধ্যম সহযোগিতা করে আসছে। এ বছর ১৫ মার্চ ২০২৪ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম অবহিতকরণের পাশাপাশি দিবস উদযাপনকে সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম হতে পরামর্শ গ্রহণের জন্য মূলত এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে সকলে সার্বিক সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ সেমিনারে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। মহাপরিচালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, অধিদপ্তর সচেতনতার অংশ হিসেবে প্রতিবছর ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস পালন করে আসছে। কনজুমার্স ইন্টারন্যাশনাল (CI) কর্তৃক ১৫ মার্চ ২০২৪ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “Fair and responsible AI for consumers”। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে এবছরের প্রতিপাদ্যটি সংগতিপূর্ণ হয়েছে।

তিনি এ বছর ১৫ মার্চ ২০২৪ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। দিবস উপলক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম যথা: ঢাকা মহানগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (BICC) জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন ও সেমিনারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি হিসেবে সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপনের উদ্যোগ গ্রহণ, ৭টি বিভাগ, ৫৬টি জেলা ও ৪৩৫ টি উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ, গণমাধ্যমকর্মী (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর), কলেজ পর্যায় (উচ্চ মাধ্যমিক), স্কুল পর্যায় (৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণী) পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন, দিবসে SCMS সফটওয়্যার, আইপি টিভি ও CCMS সফটওয়্যার (বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ) উদ্বোধন, প্রেস ব্রিফিং আয়োজন, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, স্মরণিকা প্রকাশ, ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুত করে প্রচার, দিবসের কাউন্টডাউন কর্মসূচি, থিম সংগীত প্রস্তুতকরণ (দিবসের প্রতিপাদ্যকে সম্পৃক্ত করে), ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন, টিভি টকশোসহ দিবস সংক্রান্ত ইভেন্ট আয়োজন এবং অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে সেমিনারে উপস্থিত সকলকে সম্যক ধারনা প্রদান করেন।

এরপর  তিনি আগামী  ১৫ মার্চ  বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে গোল টেবিল বৈঠক এবং টকশো এর আয়োজন, অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রচার, অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত টিভিসি প্রচার, ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও টিভি স্ক্রলে দিবস উদযাপনের প্রতিপাদ্য প্রচারসহ অন্যান্য প্রচারণামূলক কার্যক্রমে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য একটি গুরুত্বপূণ বিষয়। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রধান্য পায়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার অধিদপ্তর নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে। অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, CCMS (Consumer Complaint Management System) এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহজে স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক ভোক্তাকে সচেতন করা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক মতবিনিময় সভা, সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণ মডিউলে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অন্তর্ভূক্তকরণ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন সেবা (নম্বর: ১৬১২১) চালুকরণ, বিভিন্ন সুপার শপের ভিতরে স্থাপিত টিভি স্ক্রিনে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং অধিদপ্তরের কার্যক্রম ভিত্তিক বিভিন্ন সচেতনতামূলক ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর, গণশুনানি, অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারণাসহ বিভিন্ন ধরনের গণসচেতনতামূলক ও মটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির সহযোগিতায় অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ০৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপ্তি হয়। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অধিদপ্তরের কাজের মূল্যায়ন এবং ক্ষেত্র বিশেষে সমালোচনা করা হয়। আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সমালোচনাকে স্বাগত জানাই কারণ সমালোচনা কাজের দুর্বল দিকগুলো দেখিয়ে দেয় এবং এই দুর্বল দিকগুলো নিরসনের মাধ্যমে অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।

তিনি জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষত সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক রিফাইনারি থেকে পরিবেশক পর্যায় পর্যন্ত তেল ও চিনির মজুদ পরিস্থিতি জানার লক্ষ্যে SCMS (Supply Chain Monitoring System) শীর্ষক একটি অ্যাপস তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মাধ্যমে এসকল পণ্যের অবৈধ মজুদ সনাক্ত করা সহজ হবে এবং এর সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কিছুটা দুর্বলতার পাশাপাশি জনবল সংকট রয়েছে। ১৭টি জেলায় অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা নেই। তারপরও সারাদেশে প্রতিদিন অধিদপ্তরের ৪০-৫০টি টিম দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তিনি জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকবৃন্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও তথ্যের ভিত্তিতে অধিদপ্তর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছে। এছাড়াও সাংবাদিকবৃন্দ প্রচারে মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম ও সেবাসমূহ ভোক্তাদের মাঝে পৌঁছিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও সাংবাদিকবৃন্দের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মহাপরিচালক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁদের নিউজের জন্য বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান।

সেমিনারে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, বর্তমানে জনবান্ধব ও মিডিয়াবান্ধব একটি দপ্তর হচ্ছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। এক্ষেত্রে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলেন। তিনি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা/পুরস্কার প্রদান করা এবং অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাকে ঝুঁকিভাতা প্রদান করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

আলোচনায় দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক  মাইনুল আলম সেমিনার আয়োজনের জন্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অধিদপ্তর সামগ্রিক কার্যক্রমের জন্য খুব দ্রুত পরিচিতি পাচ্ছে। তিনি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুপ্রেরণা যোগাতে অধিদপ্তরের স্বীকৃতি আসবে বলে তিনি মনে করেন। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে গণমাধ্যম অধিদপ্তরের সাথে একযোগে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি  মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। ভোক্তা হয়রানির প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাংবাদিকবৃন্দ তাঁদের লেখনির মাধ্যমে প্রতিবাদ করে থাকে। তিনি ই-কমার্স সেক্টরে ভোক্তা হয়রানির প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে এই সেক্টরে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে অধিদপ্তরকে আরো তৎপর হওয়ার আহবান জানান। তিনি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করার প্রস্তাব করেন।

মুক্ত আলোচনায় মহাপরিচালক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও ভোক্তা-অধিকার আইন সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। মহাপরিচালক বিশেষ অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের মতামত/পরামর্শের প্রেক্ষিতে জানান এ বছর বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবসে বেস্ট রিপোর্টার ক্যাটাগরিতে বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এছাড়াও অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের কন্টেন্টসমূহ গণমাধ্যম কর্তৃক ব্যবহার করার জন্য অফিসিয়াল পত্রের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করা হবে। তিনি জানান বিভাগ পর্যায়ে বিশেষত বিভিন্ন ইস্যূর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট স্পটে গিয়ে অধিদপ্তর কর্তৃক গণশুনানি করা হবে। আলোচনা শেষে মহাপরিচালক বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে গণমাধ্যমসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

পরিশেষে সেমিনারের সভাপতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ)  মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আলোচনায় প্রাপ্ত সকলের মতামত/পরামর্শ নোট করা হয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সকলের সমন্বিত কাজ করার মাধ্যমে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৪ সফলভাবে উদযাপিত হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে সেমিনারে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *