মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : নড়াইলে ক্লিনিকের দালাল চক্রদের প্রলোভনে রোগী’র সর্বনাশ সহ পরিবার সর্বসান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমনকি পেটের মধ্যে গজব্যন্ডেজ রেখে সেলাই ও করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে রোগী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করলে খুলনার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করে দেখা য়ায় রোগীর পেটের মধ্যে গজ ও ব্যন্ডেজ রেখেই সেলাই করেছিল নড়াইলের জনতা ক্লিনিক এর ভাড়া করা ডাক্তার নড়াইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সুব্রত কুমার।
রোগী পেটে ব্যথা শুরু হলে নড়াইলে জনতা ক্লিনিকে গর্ভবতি মহিলার সিজার করে মভ তথা গজ ও ব্যন্ডেজ পেটের মধ্যে রেখেই শেলাই দেন, নড়াইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ সুব্রত কুমার, পরে বিপাকে পড়ে যোঁরপূর্বক রোগীর স্বজনদের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রফা-দফা,ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নয়,ডাঃ সুব্রত কুমার।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের মো:আয়ুব মোল্যার মেয়েকে গত ১৮ মার্চ সোমবার বিকালে রোগীর স্বজন’রা রোগীকে সিজার করতে জনতা ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং ১০ হাজার টাকার মাধ্যমে চিকিৎসক নুরুজ্জামানকে দিয়ে সিজার করানোর কথা বলে রোগীর স্বজনদের সাথে জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন কন্টাক্ট করেন,তবে রোগীর সিজার করেন,নড়াইল সদর উপজেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত কুমার।
সিজারের পর থেকে রোগী পেটের ব্যাথায় ছটফট করতে থাকলে রোগীর মা-মমতাজ বেগম জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপনকে জানালে শিপন বার বার রোগীকে ব্যাথার ঔষুধ খেতে দেন,তবে ব্যাথা না কুমলে কান্নাকাটি শুরু করে রোগীর স্বজন’রা।
পরে জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন রোগীসহ রোগীর স্বজনদের অকার্থ ভাষায় গালমন্দ করেন এবং রোগী কেনো গর্ভবতি হয়েছে বলে অসন্মানজনক কথাবার্তা বলতে থাকে রোগীসহ তার স্বজনদের। পরে জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন রোগীকে ব্যাথা জনিত ঔষুধ দিয়ে জোর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পরে রোগী বাড়িতে গিয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আবারও রোগীকে জনতা ক্লিনিকে নিয়ে আসলে শিপন রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে যোঁরপূর্বক তার ক্লিনিকের নার্স দিয়ে রোগীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। পরে নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তত্বরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। রোগীর পরিবার আর্থিক সমস্যার কারনে রোগীকে খুলনার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক অপারেশন করে দেখতে পান,রোগীর পেটের মধ্যে মভ তথা গজ ও ব্যন্ডেজ রয়েছে,যার কারনে রোগীর পেটে ইনফেকশন জানিত কারনে ,রোগীর প্রচন্ড পেটে ব্যাথা শুরু হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে রোগী’র পরিবার জনতা ক্লিনিকে ঘটনার বিবরন দিতে আসলে,জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন রোগীর স্বজনদের আবারও অকার্থ ভাষায় গালমন্দ করে ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে রোগীর স্বজন’রা জনতা ক্লিনিক ও চিকিৎসক সুব্রত কুমারের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে বিচারের আসায় আদালতে মামলা করতে গেলে জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপনসহ ডাঃ সুব্রত কুমারের দালাল চক্র রোগীর স্বজনদের আদালত থেকে ডেকে এনে ঝামেলা না করতে জোরপূর্বক ৫০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে,মামলা না করাসহ কাউকে কিছু না জানাতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এদিকে রোগী সুমাইয়া বেগম মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে, পেটের মধ্যে ইনফ্যাকশন করায় শুখিয়ে প্রাই মৃত্যু পথযাত্রী। রোগী সুমাইয়া বেগম প্রতিনিয়ত মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে,নিজ বাড়িতে। অসহায় রোগী সুমাইয়ার মা-মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন,আমার গর্ভবতী মেয়েকে নিয়ে জনতা ক্লিনিকে যায়,এসময় ক্লিনিকের মালিক শিপন চিকিৎসক নুরুজ্জামানকে দিয়ে আমার মেয়ের সিজার করাতে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে সিজার করতে রাজি হন,ক্লিনিকের মালিক শিপন। তবে সিজার করে নড়াইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা এনেস্তাশিয়া অজ্ঞানের ডাঃ সুব্রত কুমার বলে অভিযোগ করেন তিনি,ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার।সুমাইয়ার মা-মমতাজ বেগম আরো জানান,অজ্ঞানের ডাঃ হয়ে সিজার করলে রোগীর মৃত্যু হওয়ায় সাভাবিক,আমার মেয়ে মৃত্যুর মুখে।
মৃত্যুযন্ত্রনায় ছটফট করছে,আমি জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন ও ডাঃ সুব্রত কুমারের ভুল চিকিৎসার বিচার চাই। এ বিষয়ে,জনতা ক্লিনিকের মালিক শিপন ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি নয় বলে হাসতে হাসতে ক্যামেরার আড়ালে বলেন,আমার ক্লিনিকের আর কোনো ঝামেলা নেই,সিজার করে ভুল করেছে ডাঃ সুব্রত,তার সাথে আপনারা কথা বলেন।
এ বিষয়ে,নড়াইল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
দায়ীত্বে থাকা ডাঃ সুব্রত কুমার সিজারের পর পেটের মধ্যে মভ তথা গজব্যান্ডেজ থাকার সত্যতা শিকার করলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নই।
ক্যামেরার আড়ালে সংবাদ প্রচার না করতে একাধিক ব্যেক্তি দিয়ে সুপারিশ করাসহ নড়াইল ক্রাইম নিউজকে অবৈধ সুবিধার প্রলোভন দেখান এবং সংবাদ প্রচার না করতে বিভিন্ন মহল দ্বারা সুপারিশ করেন, ডাঃ সুব্রত কুমারসহ তার দালাল চক্র।
সচেতন মহলের দাবি,নড়াইলের একাধীক ক্লিনিকে কম টাকার বিনিময়ে ক্লিনিকের মালিক’রা এনেস্তাশিয়া অজ্ঞানের ডাক্তারদের দিয়ে সিজারসহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করিয়ে থাকেন,যার ফলে প্রতিনিয়তই সিজারের সময়,না বুঝে,না জেনে রোগীর প্রসাবের নাড়িসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ কেটে ফেলায় রোগীদের মৃত্যু হয় এবং দালাল চক্রদারা টাকার বিনিময়ে অপচিকিৎসা ধামাচাপা দিয়ে থাকেন।,বলেও জানান।