ছোটবেলায় পরিবারের বড় সদস্য বা দাদা-দাদির কাছে রূপকথার গল্প শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। প্রতিটি রূপকথার গল্পে একটি অন্যতম কাল্পনিক চরিত্র হলো পরি। আমাদের শৈশবকে রঙিন করে রাখতে এই চরিত্রটি ছিল অন্যতম। আর পরি চরিত্রটি এমনভাবে বর্ণনা করা হয় যে, আমাদের সবার প্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলা চলচ্চিত্রের সাহসী, লড়াকু মানসিকতার নায়িকা পরি মনির পরি মনি হয়ে ওঠার সাথে অনেকটা মিল আছে। ছোট্ট বেলায় বাবা মায়ের আদর ভালোবাসা না পেলেও একমাত্র নানা-ই পরি মনির একমাত্র আস্থা ও ভালোবাসার স্থান তার যতো মান অভিমান ছিল তার নানা কে ঘিরে ই।হাজারো ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে দর্শকের মনে পরি মনি ঠিকই রুপকথার পরি হয়ে-ই আছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ পরি দিবস। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছরের ২৪ জুন দিবসটি উদযাপন করা হয়। পরি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি সংস্কৃতিতে আছে এবং তাদের বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। তবে, একটি সাধারণ মিল আছে, আর তা হলো পরিরা আত্মা এবং আমাদের চারপাশের বাস করে।
গল্পে আমরা ডানাযুক্ত পরির কথা শুনেছি, যারা ফুলের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাদের ডানাগুলো প্রজাপতির মতো নরম ও কোমল। তাদের ত্বক হয় ফর্সা এবং মাথার চুল লম্বা ও মসৃণ। পরি এত সুন্দর যে, মাঝে মাঝে মানুষের সৌন্দর্যকে পরির সঙ্গে তুলনা করা হয়। সারা বিশ্বের শিশুদের কাছে পরি খুবই প্রিয়। এতটাই প্রিয় যে, কাল্পনিক চরিত্রটি মগ থেকে শুরু করে টি-শার্টে পর্যন্ত প্রিন্ট করা হয়।
রূপকথার কাল্পনিক এই চরিত্রটিকে সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে অনেক উৎসব আছে। আজ চাইলে যেকোনো একটি উৎসব আয়োজন করে আন্তর্জাতিক পরি দিবস উদযাপন করতে পারেন। চাইলে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে পরি থিমযুক্ত পার্টি করে বাড়িতে একটি ছোট উৎসব করতে পারেন। তবে, যাই করুন না কেন পরিকে সম্মান জানাতে ভুলবেন না।
কিংবা পরি আছে এমন কোনো রূপকথার গল্পের বই পড়তে পারেন। তাহলে সময়টাও ভালো কাটবে। আবার ছোটবেলার সেই সোনালী স্মৃতিতে ফিরে যাবেন। পরি দিবস উদযাপনের আরও অনেক উপায় আছে। এই যেমন- পরি অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন। তারপর কয়েকজনকে পুরস্কৃত করতে পারেন। আবার শিশুরা যেহেতু পরি ভালোবাসে। তাই চাইলে আপনার মেয়ে সন্তানকে পরির সাজে সাজাতে পারেন।