বিশেষ প্রতিবেদন : একটা অভ্যুত্থানের পরে যে কোন দেশে এইরকম কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সংঘটিত হয় অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেজন্য অভ্যুত্থান এর পরবর্তী সময়টা অভ্যুত্থানের সময় থেকো অনেক কঠিন তাই সবাইকে সজাগ থাকার প্রয়োজন আমরা দেখেছি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মসজিদ মাদ্রাসার ছাত্ররা সংখ্যালঘু সহ সাধারণ মানুষের জননিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এর মধ্যে কিছু জায়গায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে সেগুলো ধর্মীয় কোন সম্পর্ক এখানে নেই সবগুলোই রাজনৈতিক কেননা সুবিধা নেওয়ার সময় তারা রাজনৈতিক সুবিধার গ্রহণ করে রাজনৈতি যখন বিপদের মুখে তখন তারা সংখ্যালঘু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে একটা কথা হলো গিয়ে যে কর্ম করবে সে তার প্রতিফল ভোগ করবে তা আমরা নিজ চোখে এই বাংলার জমিনে দেখতেছি।
দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য যারা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা সবসময় চিন্তিত থাকে যে স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা হাজারো প্রাণের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি এটি কোনমতে কু বিপ্লব যেন না হয় এবং এসব শহীদের আত্মত্যাগ যেন বিধা না যায়। এখানে যেন কোন অপশক্তি তাদের কু কায়েম করতে না পারে তার জন্যই যতসব নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর অনেকগুলো ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম দৃষ্টি কঠুর কিন্তু তারা এখনো ছোট অনেকগুলো ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞতা তাই তাদের যে কোন কর্মকান্ডে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন যারাই কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। ঠিক আমরা সবাই দেখেছি এ
অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যদি এ ছাত্ররা মাঠে না থাকলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি হতো আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন পেরেছেন প্রশাসনের কর্ম বিরতি সহ নানা প্রসঙ্গের কারণে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেনি সে জায়গায় অনভিজ্ঞ ছাত্র সহ-সাধারণ মানুষ যেটি করে দেখিয়েছে তারা বাহ পাওয়ার যোগ্য ইনশাআল্লাহ হয়তো পরিস্থিতি কিছু দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে । আজকে যারাই তাদের উপরে আঙ্গুল দেখাচ্ছেন দেখা যাবে কি কোন অপ্রতিকর ঘটনার জন্য এই সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে একসময় সবাই দায়ী করবে এবং করছেন এমন নয় যে এ অভ্যুত্থানের পক্ষে বাংলাদেশের সব নাগরিক একাত্মতা পোষণ করেছে স্বৈরশাসক দলের পাতি নেতারা এখনো সোচ্চার তাদের কিছু শাসক এবং পাতি নেতারা চলে গেছে কিন্তু অনেক আগাছা রেখে গেছেন তাই সবাইকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে বলা যায় এক প্রকার জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত তারা একটা বিশাল পাহাড় তৈরি করেছে বিগত 17 বছর ধরে এই পাহাড় অতি সহজে গলানো সম্ভব নয় অতএব সাধারণ জনগণকে অবশ্যই বলব আপনারা বিব্রত হবেন না সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন তাদেরকে সহযোগিতা করেন ইনশাআল্লাহ প্রশাসন যখন পুরোপুরি পরিবর্তন এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে তখন সবকিছুই স্থিতিশীল হবে। আমি সেসব সুশীল সমাজ কে বলতে চাই যারা বিগত 17 বছর ধরে নিশ্চুপ ছিলেন আপনাদের মানবতা কোথায় ছিল তাহাদের আজকে কোথা থেকে তাদের আবেগ চেতনা জাগ্রত হল বাংলাদেশ বলতে যদি বঙ্গবন্ধু হয় তাহলে বঙ্গবন্ধু মানেই সবকিছু তাহলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভুলে গেছেন আপনারা কি বুঝাতে চান আমরা বলে থাকি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। আহত হওয়ার সংখ্যা শহীদের চেয়েও অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি পুড়েছে, সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। যেভাবে আপনারা রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে পরিবার তন্ত্র শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছেন এই দেশটা সবার স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সবার সমান অধিকার স্বাধীনতার একান্ন বছর পরে এসেও আমরা সেই অধিকার টি প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি আমাদের প্রকৃত শহীদদের রক্তের বিনিময় মূল্য পরিশোধ করতে পারিনি শুধু খালি আমরা একটা পরিবারের দাসত্ব করে যাচ্ছি আর এতগুলো শহীদ আমাদের দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের অবদানের স্মৃতি আমাদের চেতনায় এবং আমাদের কর্মকাণ্ডে নেই। ইনশাআল্লাহ যে দ্বিতীয় বিজয়া আমরা অর্জন করেছি এই পরিবার তন্ত্র শোষণ থেকে আমরা এটি রক্ষার জন্য সদা সর্বদা দায়বদ্ধ।
লেখক : মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, প্রতিনিধি : দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ, সমন্বয়ক: আমার দেশ আমার মাটি