ফরিদপুরে সিন্ডিকেটে বাড়ছে ইলিশের বাজার দর। ফলে ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত মূল্যে মিলছে না ইলিশ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ইলিশের সিন্ডিকেট ফরিদপুরে ফলে সাশ্রয়ী দামে মিলছে না বাঙালির প্রিয় ইলিশ মাছ।


বিজ্ঞাপন

 

 

ফরিদপুর  প্রতিনিধি : ফরিদপুরে সিন্ডিকেটে বাড়ছে ইলিশের বাজার দর। ফলে ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত মূল্যে মিলছে না ইলিশ। কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

শহরের হাজী শরীয়তুল্লা মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে ছোট-বড় নানা রকমের ইলিশ রয়েছে। তবে দর পূর্বের মতো চড়া। আর এতে ক্ষোভ দেখা যায় ক্রেতাদের মাঝে।


বিজ্ঞাপন

বাজারে ইলিশ কিনতে আসা রেজাউল করিম বলেন, শুনেছি ভারতে ইলিশ মাছ যাচ্ছে না। তবে কেনো ইলিশের মৌসুমে এতো দর হবে। তারা জানান, বাজারে এসে দেখি দাম আগের মতোই আছে। বর্তমান সরকারের প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি ইলিশ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

শহরের শরীয়তুল্লাহ বাজার, টেপাখেলা বাজার, হেলিপ্যাড মাছ বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৭০০ টাকায়। আর কেজির ওপরে গেলে তার দর ১৯০০-২২০০ টাকা। তবে চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজারের ইলিশের দর কিছুটা কম। আর কেজিতে ৪-৫টি সাইজের ইলিশ বিক্রয় হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা। প্রতিটি বাজারে বিক্রেতারা একই দামে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। বাজারগুলোতে সিন্ডিকেটের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ দেখা যাচ্ছে।

বাজারের মাছ ব্যবসায়ী পরিমল কুমার দাস বলেন, সাগর বা নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম, তাই বাজার দরও একটু বেশি আর এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহও তেমন নেই।

হাজী শরীয়তুল্লা বাজারের রুপালী ফিসের সত্ত্বাধিকারী হারান সরকার বলেন, মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন ১০০-১৫০ মন ইলিশ আসে। তবে মৌসুম ব্যতীত এর হার ৪০-৬০ মনের মধ্যে বা তারও কিছু কম বেশি থাকে।

আড়তদার মনোজ রায় বলেন, আমরা যে দরে মাছ ক্রয় করি তাতে ফরিদপুর পর্যন্ত আনার খরচ কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পড়ে যায়। তারপর আবার প্রতি কেজিতে বাজারের খাজনা দিতে হয় ৫০ টাকার বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই আমারা যে দরে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করি তার থেকে একটু বেশি দরে খুচরা পর্যায়ে বিক্রয় হয়।

👁️ 1 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *