ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী সহ দুই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা কে ৫৪৮ কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি করার প্রস্তাব বিএমডিএ’র

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজশাহী সারাদেশ

!!   বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আবুল কাসেম তাঁর নামের আগে ‘ড.’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পিডি করার প্রস্তাবের চিঠিতেও তাঁর নামের আগে ‘ড.’ লেখা হয়েছে। অথচ গত মার্চে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আবুল কাসেমের ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করে বিএমডিএ। ওই সময় কাসেম দাবি করেন, বিদেশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় শাখাকে পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে নেওয়া এ ডিগ্রির কোনো বৈধতা নেই। আবুল কাসেম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুটি প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৪০০ কোটি টাকার ‘কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ১১৪ কোটি টাকার একটি পার্টনার প্রকল্পেও পিডি হিসেবে নিয়োগ পান দখন। প্রকল্পটি এখনো চলমান।  বিএমডিএ কর্মকর্তারা জানান, পিডি করতে নাম প্রস্তাব করা অন্য দুই প্রকৌশলীও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘সুবিধাভোগী’ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে শিবির আহমেদ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। অনুমোদিত কমিটির নির্বাহী সদস্যদের তালিকায় ১১ নম্বরে দেখা গেছে তার নাম। শিবির আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্প’-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের পিডি ছিলেন। ২০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প ২০১১ থেকে ২০১৮ সালে বাস্তবায়ন হয়। শিবির আহমেদ ২০১৬ থেকে ২০২১ সালে বাস্তবায়ন হওয়া পাতকুয়া স্থাপন প্রকল্পেরও পিডি ছিলেন। ৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রকল্প চলাকালে শিবির আহমেদ নওগাঁর পোরশার আবদুল মজিদসহ পছন্দের দু-একজন ঠিকাদারকে দিয়ে বেশির ভাগ কাজই কোটেশনের মাধ্যমে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আরেক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানও পতিত আওয়ামী সরকারের একটি প্রকল্পের পিডি ছিলেন। ‘গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প’ ফেজ-২ এর পিডি ছিলেন তিনি। ২০০ কোটির বেশি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল সময়ের মধ্যে। কথা বলার জন্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়  !! 


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  : একজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ। আরেকজন পরিচিত আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে। অন্যজনও আওয়ামী সরকারের আমলের ‘সুবিধাভোগী’ বলে পরিচিত। এমন তিন কর্মকর্তাকে ৫৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) করার প্রস্তাব দিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।


বিজ্ঞাপন

‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় গত বছরের এপ্রিলে। এর পিডি হিসেবে নিয়োগ পান নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা। তিনি সবে কাজ শুরু করেছিলেন। এর মধ্যেই গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১২ আগস্ট তাঁর নিয়োগ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের পাঠানো এ চিঠিতে প্রকল্পটির পিডি করার জন্য তিন কর্মকর্তার নাম সুপারিশ করা হয়। তাঁদের মধ্যে যে কোনো একজনকে পিডি নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। সম্প্রতি বিএমডিএতে এই তিন কর্মকর্তার নাম জানাজানি হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন কর্মকর্তাদের অনেকে।

চিঠিতে দেখা গেছে, তালিকার এক নম্বরে রয়েছে চলতি দায়িত্বের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানের নাম। দুই নম্বরে রয়েছেন চলতি দায়িত্বের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাসেম। আর তিন নম্বরে রয়েছে চলতি দায়িত্বের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদের নাম। এই তিনজনই আওয়ামী সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ হিসেবে পরিচিত। তিনজনই আওয়ামী সরকারের আমলে এক বা একাধিক প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদেরই আবার পিডি করার প্রস্তাব করায় ক্ষুব্ধ ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা।

বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আবুল কাসেম তাঁর নামের আগে ‘ড.’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পিডি করার প্রস্তাবের চিঠিতেও তাঁর নামের আগে ‘ড.’ লেখা হয়েছে।

অথচ গত মার্চে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আবুল কাসেমের ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করে বিএমডিএ। ওই সময় কাসেম দাবি করেন, বিদেশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। তবে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় শাখাকে পিএইচডি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

সেখান থেকে নেওয়া এ ডিগ্রির কোনো বৈধতা নেই। আবুল কাসেম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুটি প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৪০০ কোটি টাকার ‘কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।

১১৪ কোটি টাকার একটি পার্টনার প্রকল্পেও পিডি হিসেবে নিয়োগ পান দখন। প্রকল্পটি এখনো চলমান।  বিএমডিএ কর্মকর্তারা জানান, পিডি করতে নাম প্রস্তাব করা অন্য দুই প্রকৌশলীও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘সুবিধাভোগী’ হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে শিবির আহমেদ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

অনুমোদিত কমিটির নির্বাহী সদস্যদের তালিকায় ১১ নম্বরে দেখা গেছে তার নাম। শিবির আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্প’-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের পিডি ছিলেন। ২০০ কোটি টাকার এ প্রকল্প ২০১১ থেকে ২০১৮ সালে বাস্তবায়ন হয়। শিবির আহমেদ ২০১৬ থেকে ২০২১ সালে বাস্তবায়ন হওয়া পাতকুয়া স্থাপন প্রকল্পেরও পিডি ছিলেন।

৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। প্রকল্প চলাকালে শিবির আহমেদ নওগাঁর পোরশার আবদুল মজিদসহ পছন্দের দু-একজন ঠিকাদারকে দিয়ে বেশির ভাগ কাজই কোটেশনের মাধ্যমে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরেক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানও পতিত আওয়ামী সরকারের একটি প্রকল্পের পিডি ছিলেন। ‘গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প’ ফেজ-২ এর পিডি ছিলেন তিনি। ২০০ কোটির বেশি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল সময়ের মধ্যে। কথা বলার জন্য প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রকৌশলী আবুল কাসেম বলেন, ‘আমার পিডি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই।’ ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। প্রকৌশলী শিবির আহমেদ বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য হতে চাননি। তাঁকে না জানিয়েই কমিটিতে নাম দেওয়া হয়েছিল। পরে সদস্য হওয়ার ফরমও পূরণ করেননি তিনি। আওয়ামী সরকারের আমলে দুটি প্রকল্পের পিডি থাকা শিবির আহমেদ দাবি করেন, তাঁকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।

বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম  গণমাধ্যম কে  বলেন, ‘কে কোন মতাদর্শের মানুষ তা পিডি করার প্রস্তাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তাঁদের একজন কর্মকর্তা হিসেবেই বিবেচনা করে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্য কিছু চাইলে মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে। পিডি নিয়োগের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো হয়ে যাবে।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *