নাজমুল হাসান : এইচএসসি পরীক্ষায় বিগত বছরের ন্যায় এবারও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মতো- সামাজিক প্রভাবের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।
চলতি বছর কলেজ থেকে ২ হাজার ৭৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ৫৭২ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৬৫ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ২৮ জনসহ মোট ১ হাজার ৭৬৫ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কলেজের ৬৪.৪২ শতাংশ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন।
এছাড়া কলেজ থেকে অংশ নেওয়া সবাই কৃতকার্য হয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বইছে গৌরবদীপ্ত আনন্দধারা।
অন্যদিকে প্রতি বছরের মতো ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বরাবরের মতো নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে রাজধানীর ডেমরার প্রথিতযশা সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল এক হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮১২ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটিতে পাসের হার শতভাগ। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, রাজধানীর ডেমরা সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল এক হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে A+ পেয়েছে ৬৮৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে A+ পেয়েছে ৬৭ জন, মানবিক বিভাগে ১৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে A+ পেয়েছে ৫৭ জন শিক্ষার্থী।
সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন,”এবার নানারকম প্রতিকূলতার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। রাজনৈতিক টানাপোড়ণের কারণেও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও পরীক্ষা বিঘ্নিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাদের শিক্ষার্থীরা মনের মত ফল অর্জন করেছে। শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যা শিক্ষার্থীদের আশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মেধাবীরা বারবার প্রত্যাশিত ফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্রমাগতভাবে সমুজ্জ্বল করে আসছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য এর চেয়ে সুখের আর কি হতে পারে।”
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, “প্রাজ্ঞ নির্দেশনা, সুদক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষক মন্ডলীর আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যাবসায় এই সাফল্যের পিছনে মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী ক্রমাগত খারাপ করলে তা অভিভাবকদের অবহিত করা হয়। আমরা মানুষ গড়ার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপসহীন সুষ্ঠু পরিকল্পনা কঠোর শৃঙ্খলা এবং অধ্যাবসায় আমাদের এগিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি।”