গ্রেফতারকৃত দুই ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা চালক।

বিশেষ প্রতিবেদক : শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ভারতীয় ১০০০ হাজার কেটি চিনি সহ দুই অটো রিক্সা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অটো চালকরা হলো, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর বড়দল ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন, একই গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া।

আলামত হিসাবে ভারতীয় ১০০০ কেজি (২০ বস্তা) চিনি, দুটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা জব্দ মুলে গ্রেফতার দুই অটো রিক্সা চালকের বিরুদ্ধে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় হতদরিদ্র দুই অটোরিক্সা চালককে আসামি করা হলেও সীমান্তের চিনি চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আসামি করা হয়নি বলে মামলার বাদীর বিরুদ্ধে নানা শ্রেণি পেশার মানুষজন অভিযোগ তুলেছেন।
বুধবার আদালত থেকে প্রাপ্ত মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, তাহিরপুর সীমান্তের বারেকটিলা থেকে বাদাঘাট বাজারগামী দুটি অটো রিক্সা বোঝাই কওে গত ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ভারতীয় ১০০০ হাজার কেজি চিনি সহ দুই অটো রিক্সা চালককে গ্রেফতার দেখিয়ে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

বুধবার উপজেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন অভিযোগ করেন, থানা ও বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কিছু অসৎ অফিসারকে মাসোহারা দিয়ে চোরাকারবারিরা বিদেশি মাদক, ইয়াবা, গাঁজা ,ভারতীয় চিনি, সেখ নাসির বিড়ি, মসলা, পেয়াজ, কসমেটিকস, খাদ্যসামগ্রী সহ নানা সামগ্রীর গোপন কারবার চালিয়ে আসছে।
হতদরিদ্র দুই অটো রিক্সাচালককে মঙ্গলবার চিনি পরিবহনের কারনে চোরাকারবারি সাজিয়ে মামলার বাদী বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের এসআই অদৃশ্য শক্তির ইশারায় মাসোহারার টানে প্রকৃত চিনি চোরাকারবারি চক্রের সদস্যস্যের ওই মামলায় নানা অজুহাতে আসামি করেন নি।
বুধবার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমানের (বিপি নং ৭৮৯৭০১৩৯২৮) জানতে চাইলে গেল মঙ্গলবার ভারতীয় চিনি চোরাচালান মামলায় গ্রেফতার দুইজন অটো রিক্সা চালক ছিল বলে স্বীকার করেন।
এরপর ওই চিনি চোরাচালানের সাথে আর কে বা কারা জড়িত ছিল ? চিনি চোরাচালানি চক্রের সদস্যদের কাউকে শনাক্তের চেষ্টা কিংবা চোরাকারবারিদের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি কোন রকম সদুক্তর দিতে পারেন নি।।