নিজস্ব প্রতিবেদক : আইএফআইসি ব্যাংকের অপসারণকৃত কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ চাকরিতে পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজও অন্যান্য দিনের মতো ৬১, পুরানাপল্টন আই এফ আই সি টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অমান্য করে কর্মকর্তাদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে অডিট করে মোট ৫২৮ জন কে চাকরিচ্যুত করার ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু সালমান এফ রহমান ও শাহ আলম সারোয়ার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নির্দেশনার তোয়াক্কা করেনি।গত আট অক্টোবর তারিখে আমরা আমাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করি।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ অগাস্ট তারিখে আমরা আমাদের চাকরি ফেরত ও বেনিফিট পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করি। ওই সময় এম ডি মহোদয় উনার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হেলাল আহমেদ (হেড অফ অপারেশন) সহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আমাদের নিকট পাঠান।
এম ডি’র সাথে আমরা সাতজন প্রতিনিধি আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করি।যেহেতু বর্তমানে আই এফ আই সি ব্যাংকের কোনো পরিচালনা পর্ষদ নেই,তিনি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বোর্ড গঠন হওয়ার পর প্রথম বোর্ড মিটিংয়েই আমাদের চাকরি পুনর্বহাল করবেন । তবে যাদের বয়স নেই তাদের বেনিফিট যারা চাকরিরত অবস্থায় মারা গেছেন তাদের বেনিফিটসহ পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করবেন। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা. টেলিভিশনসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমান এমডির ঘোষণার পরপরই আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। চাকরি পুনর্বহাল করার আবেদন ২৮৩ টি বেনিফিটকারী এবং ১১৫ টি মৃতদের সন্তানদের চাকরি ও ৫টিসহ সর্বমোট ৪০৩ জনের আবেদনপত্র হেলাল আহমেদের (হেড অফ অপারেশন) নেতৃত্বে এইচ আর এম ডিভিশনের প্রতিনিধিদের কাছে জমা দেওয়া হয়।
আমাদের দাবি সমূহ যথাক্রমে তুলে ধরা হলো : শাহ আলম সরোয়ারের আমলে চাকরিচ্যুত সকলকে চাকরিতে প্রমোশন ও সকল বেনিফিটসহ বহাল করতে হবে এবং চাকরিরত অবস্থায় আমাদের যার যার ব্রাঞ্চ পারফরমেন্স মূল্যায়ন করতে হবে।
যাদের চাকরি করার বয়স নেই তাদের সম্পূর্ণ বেনিফিট দিতে হবে। এটাচমেন্ট অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের বেনিফিট ও সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং সারোয়ারের সহযোগী দোসরদের পদত্যাগ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।