পতিত ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের কোন অপতৎপরতা সহ্য করা হবে না———খেলাফত মজলিস

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  আজ বৃহস্পতিবার  ৩০ জানুয়ারি, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে, ততদিন আওয়ামীলীগের কোন অপতৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না। কারণ জুলাই সহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুনের সাথে সুষ্পষ্টভাবে জড়িত আওয়ামীলীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শণ করে যাচ্ছে খুনীরা। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।


বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের এক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। পলাতক খুনীরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। খেলাফত মজলিস জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। ফ্যাসিবাদের বাহক আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনে এই মুহূর্তে যারাই সহযোগীতা করবে জনগণ তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা সকল খুনের বিচার কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। শেখ হাসিনা সহ সকল পলাতক আসামীকে অবিলম্বে দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন

গণ-অভ্যুত্থানে সকল দেশপ্রেমিক দল ও মতের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি দিয়ে বিপ্লোবত্তর দেশ পুনর্গঠনে সবার আত্মনিয়োগ করা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বিভেদ দেশবিরোধী অপশক্তির রসদ যোগান দিবে, ফ্যাসিবাদকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট লালন করে এই মুহূর্তে খেলাফত মজলিস ‘বিভেদ নয় ঐক্য – কল্যাণমূলক রাষ্ট্র’ গঠনের কাজ করে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের সুফল দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে ময়দানে তৎপর রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাওলানা শায়খুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামা তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা নুরুল হক, আবুল হোসেন, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, এডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *