এনবিআর-কর্মকর্তাদের এসিআর নিতে হবে পলাতক আসামীর কাছ থেকে  ?

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট হারিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের সর্বত্র ঘাপটি মেরে রয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা। এনবিআর এর উপরও ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রেতাত্মারা ভর করে আছে এখনো।


বিজ্ঞাপন

এই প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে যা কিছু দরকার তাই করে যাচ্ছে। এনবিআরকে গতিশীল ও দুর্নীতিমুক্ত করতে চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমকে সরিয়ে দেয়া হলেও অবস্থাদৃষ্টে তার প্রভাববলয়ের বাইরে বের হতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।


বিজ্ঞাপন

দুর্নীতির কালকাঠি যারা নাড়াতেন তারা কৌশলে তাদের কারসাজি চালিয়েই যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআর’র এক কর্মকর্তা বলেন, পোস্টিং-প্রমোশন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

পোস্টিং-প্রমোশনে কর্মকর্তাদের এসিআরের প্রয়োজন পড়ে। এসিআরের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গেলে তারা বলেন, ‘এনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের কাছে যেতে’।

ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন- তিনি এখন এনবিআরের কে? তিনি কি কোন কর্মকর্তার এসিআর তৈরি কিংবা তার অনুমোদন দিতে পারেন? যদি নাই পারেন কথায় কথায় পলাতক সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের নাম বলা হচ্ছে কেন?

প্রকৃত অর্থে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসর সচিবরা এনবিআরকে এখনো জিম্মি করে রেখেছেন। প্রশাসন ক্যাডার বহির্ভূত সকল ক্যাডারের পদোন্নতি সম্পূর্ণ তাঁদের হাতে।

কমিশনারের উপর পদস্থ সকলেই কোন না কোন সচিবের দারস্থ হতে হবে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন অনুমোদন নেয়ার সময়। বিশেষত: যারা স্বৈরাচার সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রতিবাদি ছিলো তারাই এখন ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট সচিবদের রোষানলে পড়ছেন।

এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। এখন তারা তাদের দাবী আদায়ে সেচ্চার হবেন। সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমত উল্লাহ মুনিম একটি হত্যা চেষ্টা সিআর ৫৩৬/২৪ নং মামলার পলাতক আসামী মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তাধীন আছে। তার কাছ থেকে এসিআর নেওয়া মানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করা।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার পদক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তাবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *