বাগেরহাটের শরণখোলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে উঠান বৈঠক: পতিত জমি রূপ নেবে সোনার খনিতে

Uncategorized অর্থনীতি খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নইন আবু নাঈম তালুকদার, (বাগেরহাট)  :  বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার কৃষি অফিস নতুন উদ্যমে “অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন” প্রকল্পের আওতায় বসতবাড়িতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন বিষয়ক উঠান বৈঠকের আয়োজন করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এই প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি রতিয়া রাজাপুর এলাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষক সম্প্রদায়, স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ও বিভিন্ন স্তরের জনগণ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনাকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর সবজি উৎপাদন বাড়ানো। এর মাধ্যমে যেমন পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে, তেমনি বাড়বে পরিবারের আয় এবং ব্যয়ের চাপও কমবে।


বিজ্ঞাপন

উপস্থিত সুশীল সমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের প্রকল্প সমাজের প্রতিটি পরিবারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। যদি এই উদ্যোগকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে শরণখোলার কোনো জমিই আর পতিত থাকবে না।” কৃষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, প্রকল্পটি তাদের কৃষিকাজে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


বিজ্ঞাপন

বৈঠকে বক্তারা বলেন, “মাটি থাকলে ফলবে সোনার খনি”, শুধু প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা ও সকলের সচেতনতা। প্রকল্পের সাফল্যের জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—পতিত জমিগুলোকে কাজে লাগিয়ে পরিবারগুলোর পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা।”

এই প্রকল্পের মাধ্যমে শরণখোলার প্রতিটি পরিবার যদি সামান্য চেষ্টা করে, তবে এলাকাটি শিগগিরই পুষ্টি ও সবজি উৎপাদনে একটি রোল মডেল হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *