মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা” জেলা কর্মশালা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ১৪ মে, সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ গোপালগঞ্জ বিশ্বজিৎ কুমার পাল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ, ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি মিল্টন বৈদ্য।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম” ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পটির ৬ষ্ঠ পর্যায় চলমান। প্রাক-প্রাথমিক, ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) এবং ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) কেন্দ্রের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা প্রকল্পের প্রধান কাজ।
এছাড়া নিরক্ষরতা দূরীকরণে, বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী ১০০% শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তিতে এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে প্রকল্পটি কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন, মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পর্যায়ের সফল বাস্তবায়নের পর “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে শেষ হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের অধীনে ২৩৩ টি শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৭ টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪৩-টি ধর্মীয় শিক্ষা (বয়স্ক) এবং ৩৩ টি ধর্মীয় শিক্ষা (শিশু) শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। প্রতি বছর প্রতিটি শিক্ষাস্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। গোপালগঞ্জ জেলায় ২৩৩ টি শিক্ষাকেন্দ্রে ২৩৩ জন শিক্ষক রয়েছে যার মধ্যে ২০৭ জন নারী শিক্ষক।