সারিয়া চৌধুরী, (লাকসাম) : কুমিল্লার ঐতিহাসিক উপজেলা লাকসামের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় ও লাকসাম পৌর প্রশাসক হিসেবে অন্যতম একজন দক্ষ ও মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন সমাজসচেতন, দয়ালু ও জনবান্ধব প্রশাসক হিসেবে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি। তাইতো তাঁর বদলি ওর্ডার আসার সাথে সাথে লাকসামের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ শরু করে আন্দলন৷ মানববন্ধন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ, সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে, পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে তাঁর বদলি রুখে দিতে সমর্থ হয়৷ এতেই বুঝা যায় তার প্রতি লাকসামের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ও তার কর্ম দক্ষতার মান৷

উপজেলা, পৌর সভার ও সব কয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি সেক্টরে তাঁর সক্রিয় নজরদারি, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের পাশে থেকে কাজ করার মানসিকতা তাঁকে করেছেন আলাদা। শিক্ষাখাত থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের কথা শুনতে এবং দ্রুত সমাধান দিতে।

মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে তাঁর অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। অসহায়, দরিদ্র ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর নিত্যদিনের দায়িত্বের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাউছার হামিদের নিজ উদ্যোগে ও নিজের অংশগ্রহনে প্রথম বারের মত লাকসাম অংশে ডাকাতিয়া নদীর তলদেশ পরিছন্নতার মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, ঈদের দিনে এতিম শিশুদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, উপজেলা প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলার আয়োজন, চোর সহ সরকারি চাল আটক, বিষাক্ত শিশু খাদ্য কারখানা বন্ধ, লাকসাম উপজেলা এবং পৌরসভার সবকটি খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করণ, যানজট নিরসনসহ বহু চমক সৃষ্টির মাধ্যমে লাকসামের ইতিহাসে এক নতুন এবং অন্যরকম অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন তিনি৷
লাকসাম বাসি মনে করেন কাউছার হামিদ একজন সরকারি কর্মকর্তাই নন, তিনি একজন পথপ্রদর্শক, যিনি জনসেবাকে নিজের কর্তব্যের ঊর্ধ্বে তুলে নিয়েছেন। লাকসাম বাসি বিশ্বাস করে, এমন একজন মানবিক প্রশাসক থাকলে উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত হবে আরও সহজভাবে।
তারা আরো মনে করেন এইরকম একনিষ্ঠ ও আন্তরিক সরকারি কর্মকর্তা প্রতিটি সংসদীয় আসনে একজন করে হলে এই দেশের ভাগ্য বদলে যাবে৷
কাউছার হামিদের বিষয়ে লাকসাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও লাকসামের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা সময়ের দর্পণে’র সম্পাদক ফারুক আল- শাহারা বলেন, দেশের পটপরিবর্তনের পরপরই তিনি লাকসামে যোগদান করেন এবং লাকসামের মানুষের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ বিশেষ করে নবাব ফয়জুরনেচ্ছার স্মৃতি, লাকসাম নবাব বাড়ি রক্ষায় কাজ করছেন এবং লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন খাল পরিষ্কার সহ অনেক কিছুই করছেন, যা আমরা অতীতে কখনো দেখিনি৷ তার কর্মকান্ড গুলো সত্যিই প্রশংসার দাবিদার৷ আমরা গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে উনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷
কাউছার হামিদের বিষয়ে লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জাফর আহমেদ বলেন, কাউসার হামিদ সাহেব সকল কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানবিক ব্যক্তি৷ লাকসামে যোগদানের পর তার একের পর এক চমকপ্রদ কর্মকাণ্ড সকলকে মুগ্ধ করেছে৷ তিনি যে কাজ গুলো করেছেন, অতীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও আন্তরিকভাবে সেই কাজগুলি করেননি৷ আমি লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷
কাউছার হামিদের বিষয়ে লাকসামের সিনিয়র সাংবাদিক, লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তিনি একজন মানবিক ব্যক্তি যে শুধু সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার রুটিন ওয়ার্ক করেই শেষ করেন না৷ উনি একজন মানবিক গুনে গুণান্বিত৷ আমি জেনেছি মধ্যরাতেও কেউ তার নিকট সহযোগিতা চায়, তিনি বিরক্ত বোধ না করে তাকে সহায়তা করেন৷ যা ইতিপূর্বে আমরা কোন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এটি পাইনি৷ আমরা বুঝতে পারছি যে, উনি আন্তরিকভাবে লাকসামকে ভালবাসেন৷ উনি সব সময় লাকসামে থাকবেন না এটা সত্য, কিন্তু উনার কর্মকাণ্ডের জন্য লাকসামবাসী ওনাকে স্মরণ রাখবে৷ আমরা লাকসামবাসী পক্ষ থেকে ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷