বাংলাদেশে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সল্যুশন নিয়ে এলো হুয়াওয়ে

Uncategorized অর্থনীতি কর্পোরেট সংবাদ জাতীয় ঢাকা বানিজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  বাংলাদেশের সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটভিত্তিক আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যোগাযোগ শক্তিশালী করার জন্য হুয়াওয়ে চারটি আধুনিক নেটওয়ার্ক সল্যুশন নিয়ে এসেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই সল্যুশনগুলি হুয়াওয়ের জিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক পোর্টফোলিওর অন্তর্ভুক্ত। ঢাকার গুলশানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক এন্টারপ্রাইজ বিজনেস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাও ই (টিম) প্রেক্ষাপট-ভিত্তিক (সিনারিও-বেইজড) এই সল্যুশনগুলি উন্মোচন করেন।


বিজ্ঞাপন

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ফ্যাব্রিক, জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ক্যাম্পাস, জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) ও জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ইউনিফাইড সিকিউর এক্সেস সার্ভিস এজ (SASE) – নতুন এই চারটি সল্যুশন একটি সম্পূর্ণ এবং একীভূত নেটওয়ার্ক সিস্টেমের অংশ। বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার মাধ্যমে সল্যুশনগুলি অর্থ, শিক্ষা, উৎপাদন ও জনসেবার মতো আরও অনেক খাতের বিভিন্ন অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ সমাধান করতে পারবে।


বিজ্ঞাপন

জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ফ্যাব্রিকে ত্রুটি-মুক্ত প্রভিশনিং, বাধাহীন সেবা, স্মার্ট ওঅ্যান্ডএম (অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এবং জিরো ডেটা লিকেজের মতো ফিচার রয়েছে। জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ক্যাম্পাস যেকোনো স্থানে এক জিবিপিএসের এক্সেস প্রদানে সক্ষম। এই সল্যুশনের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে ঐ নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত ১০,০০০-এর বেশি ব্যবহারকারী থাকলেও একজনের পক্ষেই তাঁদের ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব।


বিজ্ঞাপন

৯০ শতাংশ পর্যন্ত কারিগরি ত্রুটি জিংহে ইন্টেলিজেন্ট ওয়ান নিজেই সনাক্ত এবং সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি এটি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বাঁচায়। ইন্টেলিজেন্ট ইউনিফাইড সিকিউর অ্যাক্সেস সার্ভিস এজ (এসএএসই) স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৯৯ শতাংশ অ্যালার্ম নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ৯৫ শতাংশ নিরাপত্তাজনিত হুমকি সনাক্ত করে নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম।

সার্বিকভাবে সল্যুশনগুলি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিকে দ্রুত ও অধিক দক্ষতার সাথে কাজ পরিচালনা করতে এবং বড় পরিসরের এন্টারপ্রাইজ ক্যাম্পাসগুলিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের গতি ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।
১৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬০ জন অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সল্যুশনগুলি উন্মোচন করা হয়। হুয়াওয়ের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা অনুষ্ঠানের একাধিক সেশনে ওয়াই-ফাই ৭, ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সল্যুশন ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া এই আয়োজনে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সহযোগীদের জন্য আইপি ক্লাব এবং ওশান ক্লাব – এই দুইটি ভিন্ন মাধ্যম চালু করেছে হুয়াওয়ে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি স্থানীয় আইসিটি পেশাজীবীদের কমিউনিটি হিসেবে কাজ করবে। এগুলি হোয়াইটপেপার, হ্যান্ডস-অন ল্যাব, আইইইই/আইইটিএফ এক্সপার্ট সেশন ও আঞ্চলিক ফোরামের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞানের আদান-প্রদান, বিষয়ভিত্তিক সংলাপ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

ডিস্ট্রিবিউশন বিজনেস বিভাগের প্রধান কাও ই (টিম) বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে, ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক ভবিষ্যতের ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বাংলাদেশে জিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা শুধু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালু করছি না, বরং সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন শিল্প খাতকে সহযোগিতা করছি যেখানে উদ্ভাবন, স্মার্ট পরিচালনার ওপর নির্ভর করে বিশ্ব ক্রমশ আরও বেশি সংযুক্ত হচ্ছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু প্রযুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের একটি প্রক্রিয়া, যা সমগ্র দেশের জন্য উপকারী হবে।”
হুয়াওয়ে স্থানীয় সহযোগীদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৮০০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন আইসিটি সল্যুশন ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এমএফএস, পোশাক ও জনসেবা খাতে অবদান রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। পূর্বের মতো এই সল্যুশনগুলিও আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতি হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *