ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় প্রকৌশলী লিটন মিঞার বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ  : প্রকল্পের কাজ  কাগজে, বাস্তবায়নে  শূন্য

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সচিব ও সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দ্বৈত দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী লিটন মিঞার বিরুদ্ধে কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল ও প্যানেল মেয়রদের সঙ্গে তার যোগসাজশে একাধিক টেন্ডারকৃত প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে—এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর।


বিজ্ঞাপন

দুর্নীতির অভিযোগে টেন্ডার প্রকল্পের ‘কাগুজে’ উন্নয়নে নয় অনিয়মে ভরপুর, এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে ই-জিপির মাধ্যমে অনুমোদিত ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবে সম্পূর্ণ না করেও পুরো অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।
তাদের দাবি, কেবলমাত্র কাগজে কিছু অংশ সম্পন্ন দেখানো হলেও, বাস্তবে প্রকল্পের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।


বিজ্ঞাপন

এছাড়া ২০২২ সালের ৫ লাখ ৮৬ হাজার ও ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার দুটি কোটেশন টেন্ডার এবং ২০২৩ সালে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি কাজ বাস্তবায়ন না করেও বিল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে প্রকৌশলী লিটন মিঞার বিরুদ্ধে।


বিজ্ঞাপন

তদন্ত চলছে, তবে প্রতিবেদন এখনো অধরা :  দুর্নীতির এসব অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ডিডিএলজি তদন্ত শুরু করলেও এখনো কোনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এতে পৌরবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, “দীর্ঘদিনেও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় আদৌ কি সত্য সামনে আসবে?”

মেয়রের অস্বীকৃতি, তবে কাউন্সিলরদের প্রমাণ-ভিত্তিক পাল্টা বক্তব্য  :  মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল এসব অভিযোগকে “মিথ্যা ও ভিত্তিহীন” বলে দাবি করলেও, কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে নথিপত্র, কাজের অগ্রগতি এবং বিল উত্তোলনের হিসাবের গরমিল তুলে ধরা হয়। তারা জানান, সচিব লিটন মিঞা তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ও প্রকৌশল বিভাগের নিয়ন্ত্রণকে অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাত ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত।

জনস্বার্থে তদন্ত চূড়ান্ত ও জবাবদিহির দাবি :  পৌরবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত চূড়ান্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের ভাষায়, “সরকারি অর্থে এমন দুর্নীতি চলতে থাকলে উন্নয়ন শুধুই ফাইলে থাকবে, বাস্তবে নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *