ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশায় সরকারী স্কুলের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বরিশাল বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  :  ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশায় সরকারী স্কুলের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ১৫ জুন ২০২৫ তারিখ শংকর ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বিবাদী করা হয় ঝালকাঠি সদর থানার উত্তর কীর্ত্তিপাশা গ্রামের মো: শাহিন বেপারী (২৮) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন গত ১২ জুন সকাল ৮টায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিবাদীরা বিদ্যালয়ের সরকারী গাছ গাছালি কাটতে শুরু করে এবং ৩টি রেন্ট্রি গাছ কাটিতে থাকে যাহার আনুমানিক মূল্য ১লাখ ৪৫ হাজার টাকা।


বিজ্ঞাপন

দুপুর ১টার সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাঁধা দিলে বিবাদীরা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে চলে যায়। লোকজন বেশি পরিমানে জড়ো হলে বিবাদীরা চলে যায়।


বিজ্ঞাপন

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, “সরকারী স্কুলের গাছ কেটে নেয়ার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের একখানা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”


বিজ্ঞাপন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকজন শীর্ষ নেতার ছবি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিবাদী মো: শাহিন ব্যাপারী মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, সরকারী স্কুলের গাছ কাটার জন্য আমাকে কয়েকজন বিএনপি নেতা প্রেরণ করেছেন। তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে ১০ মিনিট পর জানানোর কথা বলে মোবাইল ফোন টি (০১৭৭৪০৭২৮৩৪) বন্ধ করে রাখেন।

এলাকাবাসী জানান, শাহিনকে জোর পূর্বক গাছ কাটাতে চাইলে শাহিন ব্যাপারী রাজি না হওয়ায় তাকে বেলায়েত সরদারে ছেলে সুজন সরদার ও পানজু ছেলে রেজাউল মারধর করা হয়। তিনি ভয়ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করছেন। গাছ কাটার হুকুম দাতাদের নাম না বলার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছে শাহিন ব্যাপারীকে।

প্রধান শিক্ষক শংকর হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, “আমাদের স্কুলের গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দিলে বিবাদীরা হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যায়।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *