জনআস্থায় ও অপরাধ নির্মুলে সদা জাগ্রত মাগুরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প : নির্ভয়ে অভিযোগ দিন

Uncategorized আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক : ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর দেশের শাসন ক্ষমতার পটপরিবর্তন ও শাসক শুন্যতার সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে সেটা কেবল ভয়ংকরই নয় রীতিমত মগের মুল্লুক কালচারের নজির সৃষ্টি করে। এ সময় প্রায় ৩ দিন দেশবাসী সরকার বা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলো। তখন যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নিতো তবে আজকের বাংলাদেশের চিত্র অন্যরকম হতো। জনগনের নিরাপত্তা বলে কিছুই থাকতো না।


বিজ্ঞাপন

অন্তর্বতীকালীন সরকার কোনভাবেই যখন দেশের আইন শৃংখলার উন্নয়ন করতে পারছিলেন না, তখন সেনাবাহিনীর ওপরই আস্থা রেখেছিলেন উপদেষ্টা পরিষদ।অতঃপর সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তাদেরকে ম্যাজিষ্ট্রেসী পাওয়ার প্রদান করায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে। জনগণ আতংকমুক্ত হন।


বিজ্ঞাপন

দল মতের উর্ধে আহরণ করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দায়িত্ব পালন করায় জনগনের নাভিশ্বাস দুর হয়। দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা ও জনগনের জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। মহানগর,জেলা,উপজেলা, পৌরসভা,ইউনিয়ন এমন কি গ্রাম পর্যায়েও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করে ব্যপক সুনাম অর্জন করেছে। এখনো করে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

সারাদেশের মতো মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলা বা থানাতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাগুরার আর্মি ক্যাম্প ইনচার্জের দায়িত্বে আছেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা । তিনি তার টিম নিয়ে প্রতিদিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ও ভয়ংকর সব অপরাধীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যেই বিপূল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যসহ অপরাধীদের আটক করেছেন। এদের মধ্যে অনেক একাধিক রাজনৈতিক দুর্বৃত্তও রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এতে করে গোটা জেলায় অপরাধমূলক ঘটনা কমে গেছে। চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,প্রতারণা রাহাজনি,মাদক ব্যবসা ও সেবনকারীর সংখ্যাও কমেগেছে। ব্যবসায়ীদের কাছে আর কেউ চাঁদা চাইতে সাহস পাচ্ছে না। শহরে যে দাঙ্গা হাঙ্গামা হতো সেটাও বন্ধ হয়েগেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যে সব চাঁদাবাজি হচ্ছিলো সেগুলোও হ্রাস পেয়েছে। সেনাবাহিনীর টিম দিনে ও রাতে জেলার ক্রাইমস্পট গুলোতে টহল অব্যাহত রাখায় সে সব স্থানও এখন নিরাপদ স্পটে রূপ লাভ করেছে।

এক নজরে- ০১ ফেব্রুয়়ারি ২০২৫ থেকে ২৫ জুন ২০২৫ পর্যন্তমাগুরা আর্মি ক্যাম্পের অভিযান ও সাফল্য : রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা । ঈদ উপলক্ষে প্রধান সড়কে নিরাপত্তা টহল ও চেকপোস্ট স্থাপন । বহুল আলোচিত শিশু আসিয়া হত্যা মামলার তদন্তে সহায়তা ও অভিযানে অংশগ্রহণ।একজন অসুস্থ প্রসূতির জন্য তাৎক্ষণিক রক্তদান ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রে চুরি ও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি দমন,সড়ক নির্মাণ কাজে দুর্নীতি অনিয়ম দমন ।  বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রেষণামূলক ক্লাস এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য উৎসাহ প্রদানবি।  ভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম উদঘাটন ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা। আড়পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার ও নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান। অনিবন্ধিত প্রাইভেট ক্লিনিকে সরকারি ওষুধ বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ ও ব্যবস্থা। গ্রাম্য বিবাদ ও সংঘর্ষ থামাতে নানাবিধ উদ্যোগ। ২৪ ঘন্টা অনলাইন সেবা চালু থাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দখলদারি অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে় অভিযান পরিচালনা করে। এই সময়ে মোট ৭০০+ টি অভিযোগ জমা পড়ে আর্মি ক্যাম্পে।

অস্ত্র উদ্ধার : ৩ টি বিদেশি পিস্তল, ১৭ টি ওয়ান শুটার গান, ১২ টি কার্তুজ, ১ টি রিভলবার, ৩ টি পাইপ গান, ৩ টি আধুনিক এয়ারগান, ৮ টি হাত বোমা, ২টি অতিরিক্ত ম্যাগাজিন. ১ টি অতিরিক্ত ব্যারেল, ৬৫ টি তাজা অ্যামুনিশন, ৩২৪ টি এয়ার গান অ্যামুনিশন, ১ টি পুলিশের টিয়ারশেল, ৩১ টি দা,৩২ টি রাম দা, ১৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ১৭ টি চাইনিজ চাপাতি, ১ টি হকিস্টিক, ৪১ টি ঢাল, ৪৯ টি সড়কি. ১০ টি স্ট্যাম্প, ১৫ টি ছুরি, ১ টি ইজি বাইক,১ টি হাতুড়ি, ৭৫ টি জব্দকৃত মোবাইল, ২ টি ল্যাপটপ, ৫ টি মোটরসাইকেল ও ২ টি কাঠের ভ্যান।

মাদক দ্রব্য উদ্ধার : ইয়াবা ৬৭০ পিছ,বিদেশী মদ ১ বোতল, গাজা ৩ কেজি ৬৯২ গ্রাম, ফেনসিডিল ৪১৫ বোতল, হিরোইন ১০ গ্রাম, মরফিন ৪ টি,নগদ অর্থ ৪৭,৩,৬৯০/- টাকা, ২২৮ টি সিম কার্ড ও ২৭ টি মেমোরি কার্ড।

মোট আটকের সংখ্যা : মাগুরা আর্মি ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, এই সময়ে দেশী বিদেশী অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যসহ মোট ১২০ জনকে আটক করা হয়। তারা কেউ জামিন পেয়েছেন আবার কেউ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এখন মাগুরা জেলার যেখানেই অপরাধমূলক কোন ঘটনা ঘটছে বা ঘটার আশংকা দেখা দিচ্ছে অনলাইনে অথবা সরাসরি অভিযোগ পেয়ে সেখানেই ছুঁটে যাচ্ছেন মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও সদস্যরা। তারা নিভৃত পল্লী অঞ্চলে গিয়েও এলাকার শান্তি ও জননিরাপত্তায় প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছেন। এতে করে তাদের প্রতি সাধারন মানুষের একটা জনআস্থা তৈরি হয়েছে। সেই আস্থার জায়গায় দাঁড়িয়ে মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ও অন্যান্য সদস্যরা শতভাগ দেশ প্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন। আগে ইউনিফর্ম পরা আর্মি দেখলে সাধারণ মানুষ যেমন ভয়ে শীতল হয়ে যেতেন এখন আর তেমনটি করছেন না। বরং তাদের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন। প্রতিকার চাচ্ছেন। মাগুরা জেলার মানুষের এই আচরণই প্রমাণ করে যে, শতভাগ জনআস্থায় রয়েছেন মাগুরায় কর্তব্যরত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।

নির্ভয়ে অভিযোগ দিন :  এ দিকে মাগুরা আর্মি ক্যাম্প থেকে জেলাবাসীর প্রতি এই আহবান জানানো হয়েছে যে, আপনারা সেনাবাহিনীকে ভয় পাবেন না। সেনাবাহিনী আপনাদের জননিরাপত্তা বিধান ও অপরাধীদের দমনে নিয়োজিত রয়েছে। আপনারা তাদেরকে তথ্য (অভিযোগ দিয়ে) সহযোগিতা করুন। আপনার এলাকাকে নিরাপদ রাখুন। একই সাথে আরো সতর্ক করা হয়েছে যে, আপনার এলাকার কোন দালাল বা প্রতারক যদি সেনা ক্যাম্পের ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা দাবী করে তবে সেই তথ্যটি সাথে সাথে অনলাইন মাধ্যমে বা সরাসরি ক্যাম্পে এসে সেনা কর্মকর্তাদের অবহিত করুন। সার্বক্ষণিক ক্যাম্প মোবাইল নং ০১৭৬৯-৫৫৪৫২২ ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *