রয়েল ইকো-ল্যান্ডের পরিচালক বৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাইনবোর্ডর জন্যে জমি ভাড়া নিয়ে কোম্পানীর সাইনবোর্ড সেটে অন্যের জমি প্লট আকারে গ্রাহকদের নিকট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে রয়েল ইকো ল্যান্ড নামের একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, প্লট আকারে বিক্রির জন্যে সদ্য গজিয়ে উঠা এই প্রতিষ্ঠানের তেমন কোন জমি কেনা নেই।
যৎসামান্য যা একটু জমি কেনা আছে তার চেয়ে শতগুন বেশি প্লট বিক্রি করছে। মাওয়াতে মানুষের জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপনের জন্যে ভাড়া নিয়ে দেদারসে কল্পিত প্লট বিক্রি করে যাচ্ছে।এক্ষত্রে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপনকে পূঁিজ বানিয়ে প্রতারনা করে যাচ্ছে।।

বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের বিধিমালা-২০০৪(সংশোধিত-২০১৫) এর আওতায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র নিবন্ধন গ্রহন করেনি রয়েল ইকো ল্যান্ড। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধিমালা প্রতিপালন না করেই কেবল ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা শুরু করেছে।

প্রতারনাপূর্ণ ব্যবসার একমাাত্র পূঁজি হচ্ছে বিলাসবহুল অফিস,চৌকস মার্কেটিং টিম ও মিডিয়াতে চটকদার বিজ্ঞাপন। তাদের প্রতারনার টার্গেট প্রধানত: প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
কথিত হাউজিং ব্যবসার প্রসারের জন্যে রয়েল ইকো ল্যান্ডের পরিচালক কাজি হেমায়েত আবাসন মেলার নােেম মার্কেটিং টিম সমেত এখন আরব আমিরাত ও কাতারে সফর করছেন বলে জানাগেছে।
২৬শে আগষ্ট থেকে ২রা সেপ্টেম্বর-২০২৩ পর্যন্ত দুবাই, ৩রা সেপ্টেম্বর- ২০২৩ পর্যন্ত আবুধাবিতে এবং ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাতারে রয়েল ইকো ল্যান্ড লিমিটেড এর একক আবাসন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

”জীবনকে উপভোগ করতে চাইলে আপনার স্বপ্নের বাড়ী বানান রয়েল ইকো ভ্যালিতে, নতুন ঢাকায় গ্রামীন জীবন, জীবনকে উপভোগ করে নিন প্রাকৃতিক পরিবেশের মিশেলে নান্দনিক আধুনিকতা, প্রজেক্ট ভিজিট করার জন্য রয়েছে আমাদের নিজস্ব পরিবহন সুবিধা”-এরকম মনোমুগ্ধকর প্রচারনা চালিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে যাচ্ছে।
রয়েল ইকো -ল্যান্ডের প্রলোভন সমুহের বিবরণ যথাক্রমে তুলে ধরা হলো :
# আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সম্ভাবনার এক নতুন দিকে।
কথার প্রচলন আছে “মাটি খাঁটি, স্বর্ণ হলো আধা,নিজের বাড়ি কেনার আগে গাড়ী কিনলে গাধা”।।এই প্রবাদের অর্থ হচ্ছে সবচেয়ে বিচক্ষণতা আর বুদ্ধিমানের কাজ হলো জমি ক্রয় করা বা জমিতে বিনিয়োগ করা।বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়ােগ হলো ঢাকায় অথবা ঢাকার কাছেই প্লট ক্রয় করা।অনেকের কাছেই বিনিয়োগ করার মতো সামর্থ্য আছে। কিন্তু প্রয়ােজন শুধু নিষ্কণ্টক ভূমি। “রয়েল ইকো ভ্যালি” ঢাকা-পদ্মাসেতু এক্সপ্রেস হাই-ওয়ের পাশেই , নির্ভেজাল ভূমি। তাই “রয়েল ইকো ভ্যালি”তে জমি কিনুন,সুনিশ্চিৎ ভবিষ্যৎ গড়ুন।আর শুরু হোক নতুন পথ চলা।
আপনার বিনিয়োগ হোক নিরাপদ, বাস্তবতায় পরিপূর্ণ হোক আপনার স্বপ্ন।নিশ্চিন্তে কাটুক আপনার আগামীর ভবিষ্যৎ। আর তাই আপনার জন্য ঢাকা-মাওয়া রোডে সুপরিকল্পিত ও পরিবেশ বান্ধব আবাসন প্রকল্প “রয়েল ইকো ভ্যালি”।
প্লট সাইজ : কর্পোরেট ভ্যালিতে ৫ও ১০ শতাংশের প্লট।প্যারাডাইস ভ্যালিতে ৫ও ১০ শতাংশের প্লট। ভি.আই.পি ভ্যালিতে ১০,১৫ ও ২০ শতাংশের প্লট। ডুপ্লেক্স ভ্যালিতে ১০,১৫ ও ২০ শতাংশের প্লট।
সহজ কিস্তি অথবা এককালীন শতাংশ প্রতি বুকিং নিয়মাবলী : বুকিংমানি ২০ হাজার টাকা (প্রতি শতাংশ) ডাউনপেমেন্ট ২০℅ (জমির মোট মূল্যের উপর) কিস্তি (নুন্যতম) ২০ হাজার টাকা (৫ শতাংশের প্লট) দীর্ঘমেয়াদী ১০ বছরের কিস্তির সুবিধা। ৫ বছরের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার। যেকোনো সময় মানি ব্যাক গ্যারান্টি সামর্থ্য কম হলে কয়েকজন মিলেও বুকিং দিতে পারেন।৫০% মূল্য পরিশোধে সাব-কাবলা রেজিস্ট্রেশন। এককালীন বুকিং দিলেই আকর্ষনীয় ছাড়।
((ঢাকার মূল লোকেশন থেকে আমাদের প্রকল্পের দূরত্ব)) ঢাকা গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে ১৯ কিলো -(৩০ মিনিট) ঢাকা শান্তিনগর, কাকড়াইল,প্লটন ফ্লাইওভার থেকে কেরানিগঞ্জ (রাজউক ঝিলমিল প্রকল্প) পার হয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ। যাত্রাবাড়ী থেকে ১৭ কিলো – (২১ মিনিট) ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ৪০০ ফিট বিশ্বরোড এর দু’পাশে। (পদ্মা সেতুর ১৩ কিলোমিটার আগে) স্থানঃ পশ্চিম হাসাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ১ কি মি ভিতরে (হাসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে) হাসাড়া মৌজা, লস্করপুর মৌজা,(বিনিয়োগ বান্ধব লোকেশন)
(( প্রকল্পের সুবিধা সমূহ ))
বেসরকারী ভূমি উন্যয়ন বিধিমালা ২০০৮ এর আলােকে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। সহজ শর্তে এবং সুদমুক্ত দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির মাধ্যমে মূল্য পরিশােধের সুবিধা। প্রকল্পের উন্নয়নমুলক কার্যক্রম চলমান, মূল্য পরিশােধের সাথে সাথে রােজিক্টেশন ও হস্তান্তর । বাস্তব সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ বান্ধব লোকেশন। সম্পূর্ণ নির্ভেজাল ও নিষ্কন্টক জমি। প্রকৃতি ও আধুনিক পরিকল্পনার সমন্বয়ে প্রকল্পটি সবুজায়ন করা হবে। এককালীন ক্রয়ে বিশেষ ডিস্কাউন্ট ও এখনই প্লট রেজিস্ট্রি করে নেয়ার সুযোগ। চাহিদা অনুযায়ী কমার্শিয়াল,এবং কর্ণার প্লট, লেক ভিউ, পার্ক ফেসিং প্লট, যাচাই-বাছাই করে নেওয়ার ব্যবস্থা। ১০ বছর পর্যন্ত সহজ কিস্তির সুবিধা। মানিব্যাক গ্যারান্টি (সম্পূর্ণ নিরাপদ ইনভেস্ট)। সঠিক সময়ের মধ্যেই প্লট হস্তান্তরের নিশ্চয়তা, নিষ্কন্টক ও ৩ পর্চার জমি। পুরো প্রজেক্টের চতুর্দিকে সরকারি রোড রয়েছে । নাগরিক সুবিধার্থে ৩০,৪০,৬০,ও ৮০ ফুট সড়ক ব্যবস্থা। সরকার প্রদত্ত হাউজিং নীতিমালা অনুযায়ী প্লট সমুহ সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। কোম্পানির নিজ খরচে যেকোনো সময় প্রকল্প ঘুরে দেখার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে । উন্নত নগর জীবনের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আধুনিক আবাসন প্রকল্প। সর্বাধুনিক সুযােগ-সুবিধা সম্বলিত বিশাল মসজিদ, থিম পার্ক, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, স্টেডিয়াম, ফায়ার সার্ভিস, কাচা বাজার, কবরস্থান, প্রকল্পে বাস্তায়বায়িত হবে। বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন, স্কুল, কলেজ, বেসরকারি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়,খেলার মাঠ, সার্বক্ষণিক নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় নিরাপন্তা বলয়, পুলিশ বক্স ও টেলিযোগাযােগ ব্যবস্থা থাকবে। পানি বিশােধন প্রকল্প, বর্জ্য নিষ্কাশন ও বায়ােগ্যাস প্রকল্প থাকবে। প্রজেক্টের ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে ৩০ ফিটের লেক সার্কেল রোড। আমাদের পকল্প এলাকায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে ঢাকার চারদিক থেকে যাতায়াতের সুব্যবস্থা এবং ২টি সরকারি রাস্তাসহ ঢাকা-পদ্মাসেতু এক্সপ্রেস ওয়ে এবং রেলপথের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। #
এসব প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ জনগণ কে ধোকা দিচ্ছে রয়েল ইকো-ল্যান্ডের পরিচালকবৃন্দ।
স্বল্প মূল্যে প্লট বিক্রি ও সামান্য পরিমান কিস্তিতে পরিশোধের সিসটেম হচ্ছে তাদের প্রতারনার অন্যতম কৌশল। সাথে বুকিং দিলেই উপহার সামগ্রির অফার। গঙ্গা জলে গঙ্গা পূঁজা করছেন।কিন্ত স্বল্প মূল্যের কিস্তি যে পুরোটাই খোয়া যাবে আর কোন দিনই প্লটের সন্ধান মেলবে না-অসচেতন গ্রাহকগণ তা বুঝতেছে না।
প্রতারিত হওয়ার পূর্বে প্রবাসি সহ সকল পর্যায়ের গ্রাহকদের চটকদার প্রচারনার ফাঁদে না পরে যাচাই বাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ।