নিজস্ব প্রতিবেদক : জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

ঋণচুক্তির আওতায়, প্রকল্পটির নির্মাণকাজে জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৯২,০৭৭মিলিয়ন জাপানি ইয়েন ঋণ দিবে জাইকা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। আজ (২৭ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে শেরে-বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ঋণচুক্তিতে সই করেন জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।

এটি প্রকল্পটির নির্মাণকাজে অর্থায়নের প্রথম ধাপের ঋণচুক্তি। এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকল্পটির প্রকৌশল সেবার জন্য জাইকার সাথে আরেকটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির জন্য প্রকৌশল পরামর্শক নির্বাচনের কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শিগগিরই প্রকল্পের বিস্তারিত নকশার কাজ শুরু করা হবে।

১৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পে জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার মাধ্যমে দেশের রেল পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা হবে। প্রকল্পটি দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে; পাশাপাশি, জাইকার সহায়তায় নির্মিত যমুনা রেলসেতুর পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও ঢাকার মধ্যে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, যা শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ সংযোগই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ জোরদারে সহায়তা করবে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, “আজ আমরা বাংলাদেশের রেল সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের চুক্তি সম্পন্ন করেছি। এ চুক্তির মূল্য উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে আরও সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা। আমি মনে করি, আমাদের এ সহায়তা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাঙ্ক্ষিত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।”
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।