রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, (ঝালকাঠি) : বানাড়ীপাড়া-উজিরপুর নির্বাচনী আসনে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন লায়ন আক্তার হোসেন সেন্টু। তিনি ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন। কৃষক শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের বন্ধু হিসেবে ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাদা মনের আকতার হোসেন সেন্টু । বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করে সবুজ বেষ্টনী তৈরি ও জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের অন্যতম সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিভাগীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু বরিশাল বিভাগীয় কৃষকদলকে করেছেন সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। তাঁর নেতৃত্বগুণ, ত্যাগ ও অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কৃষকদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাঁকে “বরিশাল বিভাগীয় কৃষকদলের ঐক্যের প্রতীক” এবং “অভিভাবক” হিসেবে সম্বোধন করেন।

২০১৮ সালে তিনি প্রাথমিকভাবে বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনয়নপত্র পেয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সুখে-দুঃখে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন গভীর সম্পর্ক। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে তিনি শুধু সাহসই দেননি, আর্থিক সহায়তাও করেছেন এবং রাজপথে নেতাকর্মীদের সক্রিয় রেখেছিলেন।
বরিশাল বিভাগের ৭ জেলা ও ১ মহানগর জুড়ে বছরের পর বছর অক্লান্তভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া, গ্রেপ্তারের রেড অ্যালার্ট—কোনো কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। তিনি ঢাকার রাজপথ থেকে বরিশালের প্রতিটি জেলায় কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনা করে নেতাকর্মীদের উদ্দীপ্ত করেছেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে টিয়ার সেলে গুরুতর আহত হলেও তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামাননি। শেখ হাসিনার পতনের ১ দফা আন্দোলনে তাঁর ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। একই বছরের ২ অক্টোবর কৃষকদলের মহাসমাবেশে তিনি বরিশালের সকল জেলা ও উপজেলা থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেন, যা ছিল ঐতিহাসিক উপস্থিতি।

দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হওয়ার পর তিনি কৃষকের সমস্যার দিকে মনোযোগ দেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরে তিনি পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও বরিশাল জেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষক ও কৃষকদলের নেতাকর্মীদের জন্য ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। কৃষকের অধিকার আদায়ে পিরোজপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে মানববন্ধনসহ সার, বীজ, কীটনাশকের দাম কমানোর দাবিতে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
প্রান্তিক কৃষকদের কাছে হয়ে ওঠা “কৃষক বন্ধু” লায়ন আকতার হোসেন সেন্টুর জন্য সম্প্রতি বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তাঁরা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ”বরিশালে কৃষকদল থেকে অন্তত একটি ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হোক এবং সেই মনোনয়নের যোগ্য উত্তরসূরী হলেন লায়ন আকতার হোসেন সেন্টু।
তৃণমূল থেকে উঠে এসে আজ তিনি হয়ে উঠেছেন সকলের হৃদয়ের মানুষ। তাঁর জন্য বরিশাল বিভাগের কৃষকসমাজ ও নেতাকর্মীরা দোয়া করে যাচ্ছেন। সাধারণ জনগণ আকতার হোসেন সেন্টু কে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। এক জরিপে দেখা যায় কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জনপ্রিয় নেতা আকতার হোসেন সেন্টু।
