ভজঘটভাবে দেশ চলছে ——গোলাম মোহাম্মদ কাদের

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ভজঘটভাবে দেশ চলছে। কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, কে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার আছে। সেই সরকারই নাকি দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারী দলও নাকি অনেকগুলো দাড়িয়ে গেছে, সেই সরকারী দলও নাকি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। কোন নিবন্ধন নেই, এমন সরকারী দলের কিছু অংশ সরকারে আছে আর কিছু অংশ বাইরে আছে। সরকারী দলের সকল সুযোগ সুবিধা তারা ভোগ করছে, তাদের বক্তব্য ও বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সরকার গ্রহণ করছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম এই বড় দুইটি দল আছে, যারাও সরকারী দলের মতোই সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।


বিজ্ঞাপন

আরো ছোট ছোট কিছু দল আছে, যারা কোনদিন নির্বাচনই করেননি অথবা নির্বাচিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন দায়িত্ব পালন করেননি, তারাও কিন্তু সরকারী দলের সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন। সরকারী দলের সবাই একজোট হয়ে নির্বাচন করবেন, কিন্তু এর বাইরে যে দলগুলো আছে তারা নির্বাচন করতে পারবে কি পারবে না তা নিয়ে রহস্য আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সকল দলগুলো কি বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে? দেশে কি কোন বিরোধী দল বা বিরোধী কন্ঠস্বর দরকার নেই? বেশিরভাগ মানুষই কি এই কয়েকটি দলের সমর্থক? সবাই কি এই দলগুলোকেই ভোট দেবে? দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ মানে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই সরকারের কর্মকান্ডের বিরোধী।

আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের মুক্তির দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সভাপতির বক্তৃতায় একথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির একমাত্র মুখপাত্র হচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি এ দায়িত্ব পালন করে যাবে। আর একারণেই জাতীয় পার্টির উপর অত্যাচার ও নির্যাতন চলছে। বিগত সরকার জাতীয় পার্টির সাথে যে ষড়যন্ত্র করেছে, এই সরকারও ঠিক সেই ষড়যন্ত্রই করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। শুধু আমাকে নয়, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বাদী, আইনজীবী ও বিচারকও জানে মামলাগুলি মিথ্যা। কিন্তু, মিথ্যা মামলা বন্ধ বা প্রত্যাহার হচ্ছে না।


বিজ্ঞাপন

আমাদের সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং মোহাম্মদপুরের জাতীয় পার্টি নেতা সেলিম প্রায় ১ বছর ধরে হাজতবাস করছে। তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, জাতীয় পার্টির কন্ঠরোধ করতে চাচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার বিরোধী কন্ঠস্বর সহ্য করতে পারে না। আপনারা নাকি ফ্যাসিবাদ দমন করেছেন, গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন? আপনারাতো শেখ হাসিনার মতোই একই কাজ করছেন। আমাদের মধ্যে কিছু দালাল শ্রেণীর নেতাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে শেখ হাসিনা বিভাজন সৃষ্টি করে, আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। বর্তমান সরকারতো একই কাজ করছেন। মনে রাখবেন দেশের বেশীরভাগ মানুষ এখন সরকার বিরোধী।

বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ জাতীয় পার্টিকেই তাদের কন্ঠস্বর মনে করছে। বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের পরাজিত করবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যে পতাকা আপনি দিয়েছেন তা যেন শক্ত করে ধরে রাখতে পারি, সেই সক্ষমতা আপনি আমাদের দিন। সরকার এক ধরণের রাজনীতি চাচ্ছে, যেখানে বিরোধী কন্ঠস্বর থাকবে না। তাহলে শেখ হাসিনা কি দোষ করেছিল? শেখ হাসিনা যদি ফ্যাসিবাদ কায়েম করে তাহলে আপনারা কি কায়েম করেছেন? আপনারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে নব্য ফ্যাসিবাদ।

সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের পর একটি আরবী শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে “ইনকিলাব”। এটাকে বলা হয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই স্লোগানটি বিভিন্ন সময়ে ভারতে শোনা যায়। ইনকিলাবের নামে আবার শক্তিশালী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আবারও যদি ফ্যাসিবাদ তৈরী হয় তাহলে পরিবর্তন কি হলো? আমাদের উপর যত নির্যাতন চলবে, ততই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমাদের সাথে দেশবাসী আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ২০২৪ সালের ১লা জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তখন ৩ জুলাই আমি সংসদে বক্তৃতায় বলেছিলাম, এই আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র হলো বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পরে।

বৈষম্য থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এদেশের মানুষ সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে পারে। সেই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরে যে সরকার গঠিত হয়েছে আমরা তাদের সর্বতভাবে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম নতুন বাংলাদেশ। ওই আন্দোলনে দেশের বেশিরভাগে মানুষ অংশ নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের জন্য। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে আমরা বলতাম কর্তৃত্ববাদী সরকার।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন চেয়েছিলাম, যা দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছিল না। সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের আশায় আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলাম। আমাদের দাবী ছিল বৈষম্যহীন একটি সমাজ গঠন করা হোক। বেশিরভাগ মানুষ আন্দোলনে নেমেছে, জীবন দিয়েছে একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য। যার মাধ্যমে ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠন হবে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হওয়ার কোন পরিবেশ আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি, দেশে অন্যায় ও অবিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাকে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে, জামিন দেওয়া হচ্ছে না, নির্যাতন-নিপিড়ণ করা হচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষকে দোসর আখ্যা দিয়ে মব তৈরী করে জুলুম-নির্যাতন চলছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যারা আমাদের নিয়োগদাতা বা অভিভাবক তাদের অধীনেই আমরা কাজ করবো। তারা নিজেরাই দাবী করেছে, তারা নাকি নাশকতা করেছিল। ওই আন্দোলন সফল না হলে তারা নাকি সশস্ত্র আন্দোলন করতো। তার মানে তারা সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত ছিল, তাদের কাছে বন্দুক ছিল, মারণাস্ত্র ছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ কে দিল? সে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন কোথায় আছে? তারা মনে করছে, সবকিছু করার ম্যান্ডেট তারা পেয়েছে। দেশকে বিভক্ত করে, বেশিরভাগ মানুষকে ফ্যাসিস্ট ও ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে মব তৈরী করে দেশে একটি হানাহানির পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, এই সরকার নিজস্ব স্টাইলে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, এই সরকারের নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই। এই সরকার নির্বাচন পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ, এই সরকার প্রশাসন, বিচার বিভাগ সহ সকল বিভাগের মনোবল ভেঙে দিয়েছে। অনেককেই মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যে পদগুলো খালি হচ্ছে সেখানে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়ে দলীয়করণ করছে। মনোবলহীন ফোর্স দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সঠিক নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা কি এই সরকারের আছে? অবাধ নির্বাচন করতে চাইলে সবাইকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে হবে। যদি, তথাকথিত সরকারী দলগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তো এই সরকার নিরপেক্ষ হলো না। সরকারী দলে যারা আছে, তাদের শুধু পুলিশ নয়, আর্মি দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। এভাবে কি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়া সম্ভব? এখন বলছে, তারা বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংস্কার হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া, যার কোন শেষ নাই। জনগণের মতামতের বাইরে গিয়ে গায়ের জোরে সংস্কার এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। বিচার একটা চলমান প্রক্রিয়া, তাড়াহুড়া করলেও ৫-৬ বছরের আগে বিচার সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় আছে। এই সরকার দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দিয়েছে। এই সরকার দেশকে প্রতিহিংসার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম সেখান থেকে দেশের উত্তরণ করবে এই সরকার। দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাহলে কি আন্দোলন, বিপ্লব বা ইনকিলাব ব্যর্থ হয়েছে? এর দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও তাদের নিয়োগদাতাদের নিতে হবে। রিক্সা শ্রমিক, কারখানা শ্রমিক বা কারখানা মালিকদের জিজ্ঞাসা করুন তারা সবাই বলবে বর্তমান অবস্থার চেয়ে আমরা আগেই ভালো ছিলাম। শেখ হাসিনার সরকারের সময়কে ভালো বলা যায় না, কিন্তু দেশের মানুষ বলছে বর্তমান অবস্থার চেয়ে তখনই তুলনামুলকভাবে ভালো ছিল। তাহলে, ছাত্রদের জীবন দেওয়া কি বিফল হলো? এই ছাত্রদের সাথেই তো দেশের বেশিরভাগ মানুষ ছিল। যখন ছাত্ররা একক কৃতিত্ব দাবী করে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করলো তখন তো তাদের কৃতিত্ব দেওয়া যায় না। তাই, আমাদের কাজ হলো সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। সংগ্রাম শেষ হয় নাই, ইনকিলাব শেষ হয় নাই। যারা আমাদেরকে দোসর আখ্যা দিচ্ছে, দয়া করে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। ১৯৭১ সালে সবচেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল কারা? শুধু আওয়ামী লীগই ফ্যাসিস্ট ছিল? আর কোন সরকার পরপর দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়নি? দেশের মানুষ দেখেছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কাকে কাকে বিসিএসএ পাশ করাতে হবে। একটি বাহিনী তৈরী করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড শুরু করেছিল কোন দল? সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল কোন দল? সেই দলের দোসর কারা ছিল? আমরা কোন সময় ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলাম না। আমরা সবসময় জনগণের দল ছিলাম, জনগণের দল থাকবো। সরকার পরিবর্তন হলেই আগের সরকারের সবাইকে নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়, এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে কেউই স্বাভাবিকভাবে পদত্যাগ করতে পারবে না। কেউ দোষ করলে তাকে স্বাভাবিক পন্থায় আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাতীয় পার্টি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়েছে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো- চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, প্রফেসর মহসিনুল ইসলাম হাবুল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, মেহেরুন্নেসা খান হেনা পন্নি, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, জুবের আলম খান রবিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, তাতী পার্টির সদস্য সচিব মোক্তার হোসেন, ওলামা পার্টির সদস্য সচিব মুফতি ফিরোজ শাহ, কৃষক পার্টির সদস্য সচিব মোঃ আব্দুস কুদ্দুস মানিক, সাংস্কৃতিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, ছাত্র সমাজ এর যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল রেজা প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম মিলন, ইঞ্জিঃ ইকবাল হোসেন তাপস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মোঃ মমতাজ উদদীন, আলহাজ¦ আবু তাহের, আজমল হোসেন লেবু, নুরুন নাহার বেগম, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, জাহিদ হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, এমএ সোবহান, আখতার হোসেন দেওয়ান, এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, মোঃ হুমায়ুন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমির হোসেন ভূঁইয়া, সালাহ উদ্দিন খোকা মোল্লা, শামীম আহমেদ রিজভী, দ্বীন ইসলাম শেখ, হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, সাইফুল ইসলাম, আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, এমএ হান্নান, মীর সামছুর আলম লিপটন, মোঃ আজহারুল ইসলাম সরকার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মাহমুদ আলম, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, ইঞ্জিঃ এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাকির হোসেন মৃধা, বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, মামুনুর রহিম সুমন, এসএম রহমান পারভেজ, শেখ মোঃ সারোয়ার, শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব, সমরেশ মন্ডল মানিক, শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, এ্যাড. আব্দুর রশিদ, ইঞ্জিঃ জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *